প্রকাশিত হয়েছে ‘ছোটর দাবি’ পত্রিকার অনলাইন ছড়া সংখ্যা ‘আমার শিক্ষক’

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া রামরাজাতলা থেকে ৩১ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী ‘ছোটর দাবি’ পত্রিকা। বাংলা শিশু-সাহিত্য জগতের বহু খ্যাতনামা কবি-সাহিত্যিক কলম ধরেছেন এই পত্রিকায়। লিখেছেন নবীনরাও। এতবছর ধরে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়ে আসছিল মুদ্রিত আকারে। এই লকভাউন পর্বে ‘ছোটর দাবি’ পা রাখলো ভার্চুয়াল জগতে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘ছোটর দাবি’র যাত্রা শুরু হলো অনলাইনে।

আসন্ন শিক্ষক দিবসের কথা মাথায় রেখে পত্রিকাটি প্রকাশ করেছে একটি বিশেষ ছড়া সংখ্যা ‘আমার শিক্ষক’। ছন্দে ছড়ায় নিজেদের শিক্ষকদের স্মরণ করেছেন দেশ-বিদেশের প্রায় ১৩০জন কবি। ‘ছোটর দাবি’-র সম্পাদক কবি অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘১৯৯০ সালে পথ চলা শুরু করেছিল ‘ছোটর দাবি’ পত্রিকা। ৩১ বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছে মুদ্রিত আকারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রথম ‘ছোটর দাবি’ প্রকাশিত হলো অনলাইনে। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণের জন্মদিন। সেই কথা মনে রেখে ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ আমরা প্রকাশ করলাম বিশেষ ছড়া সংখ্যা ‘আমার শিক্ষক’।

আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই বিষয়ে ছড়া লিখে পাঠিয়েছেন উত্তর আমেরিকার কানাডা, উত্তর আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিশিষ্ট এবং নবীন কবিরা। দুর্দান্ত কিছু ছড়ার পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে কয়েকটি নতুন হাতের কাঁচা লেখাও। কিছু লেখায় চালাতে হয়েছে কলম। তাতে কী, এই অবকাশে ঘরবন্দি সময়ে প্রায় ১৩০ জন কবি তাঁদের শিক্ষকদের স্মরণ করলেন, এটাই তো বড়ো কথা। প্রত্যেকের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। যদিও সব লেখা আমরা প্রকাশ করতে পারলাম না।

আগামীদিনে আমরা পাঠকদের সামনে হাজির হবো নতুন নতুন বিষয় নিয়ে। বন্ধুরা, ছড়া পড়ুন, মতামত জানান। চিন্তা নেই, এই পৃথিবী একদিন করোনা মুক্ত হবে। হবে-ই।’
‘ছোটর দাবি’-র ‘আমার শিক্ষক’ ছড়া সংখ্যাটি অনলাইনে প্রকাশ পাওয়া মাত্র বাংলা সাহিত্যে আলোড়ন তুলেছে। বলা যায়, নতুন জোয়ার এনেছে বাংলা ছড়ার জগতে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে প্রতিক্রিয়া। ‘ছোটর দাবি’ পত্রিকার সহ সম্পাদক কবি অংশুমান চক্রবর্তী নিয়মিত ‘বাংলার ছড়া’ নামে একটি ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠান উপস্থাপন করছেন। সেই সাপ্তাহিক ধারাবাহিক অনুষ্ঠানটিও দেশ-বিদেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

‘ছোটর দাবি’-র ‘আমার শিক্ষক’ ছড়া সংখ্যার লেখক সূচিতে দেখা গেল নবীন ও প্রবীণের মেলবন্ধন। লিখেছেন, লুৎফর রহমান রিটন, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপ মুখোপাধ্যায়, বিমলেন্দ্র চক্রবর্তী, তরুণকান্তি বারিক, শৈলেনকুমার দত্ত, রামকিশোর ভট্টাচার্য, ছন্দা চট্টোপাধ্যায়, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়, আশিস মিশ্র, গৌতম হাজরা, সুস্মেলী দত্ত, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, শাম্ব চ্যাটার্জী, শঙ্খশুভ্র পাত্র, অশোক অধিকারী, শাহীন রেজা, সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী, দুর্গাদাস মিদ্যা, সুধাংশুরঞ্জন সাহা, ফটিক চৌধুরী, রবীন বসু, প্রণবকুমার চক্রবর্তী, দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায়, মৌসুমী বিশ্বাস, শিবনাথ সিকদার, সুব্রত দাস, স্বপ্নাদিত্য সেন, জগদীশ মণ্ডল, স্বপন চক্রবর্তী, তাপসকিরণ রায়, সৌরভ চাকী, অর্থিতা মণ্ডল, কৃপাণ মৈত্র, স্বপ্না আচার্জী, সুব্রত ভট্টাচার্য, তাপসী আচার্য, মালা ঘোষ মিত্র, অমিতাভ বিশ্বাস, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় দাস, টুম্পা মিত্র সরকার, কান্তিলাল দাস, মোনালিসা পাহাড়ী, আনন্দমোহন ঋষি, সুদীপ চৌধুরী, কাকলি মুখোপাধ্যায় প্রবীররঞ্জন মণ্ডল, অপর্ণা দাস, সুমনা মণ্ডল, রণজিৎ সরকার, গুরুস্বরূপ মুখোপাধ্যায়, উৎপল পাল, অনিতা অধিকারী, অশোককুমার ঠাকুর, সৌমেন্দ্রনাথ হালদার, আভা সরকার মণ্ডল, স্বপনকুমার রায়, রঞ্জিত বিশ্বাস, ছোটন গুপ্ত, টুম্পা দে দাস, সঞ্জয় কর্মকার, পঞ্চমী গোল, অরূপ মিত্র, সুবর্ণা চক্রবর্তী, অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়, দীননাথ চক্রবর্তী, মৌপ্রিয়া গাঙ্গুলি, বারিদবরণ ভট্টাচার্য, সুব্রত ঘোষ, পার্থজ্যোতি লাহিড়ী, সমীরণ সরকার, অরূপ দাস, শমিত কর্মকার, কৌস্তুভ দে সরকার, বিপ্লব চক্রবর্তী, রাজীব মিত্র, কণিকা দাস, নাদিম খান, মৃত্যুঞ্জয় হালদার, বিমল মণ্ডল, প্রাণনাথ শেঠ, পার্থসারথি চক্রবর্তী, ইলিয়াস পাটোয়ারী, আযাদ কামাল, জয়শ্রী সরকার, সেকেন্দার আলি সেখ, রিয়াদ হায়দার, দীনেশ সরকার, জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী, কেদারনাথ দাস, পরিমল চট্টোপাধ্যায়, সবিতা বিশ্বাস, দেবাশিস সেনগুপ্ত, সজল বন্দ্যোপাধ্যায়, রমলা মুখার্জী, জুলি লাহিড়ী, শিপ্রা ভৌমিক, প্রদীপ চিকি, সুপ্রকাশ আচার্য, নবীন মণ্ডল, নির্মল করণ, মাথুর দাস, তপোময় ঘোষ, অমরেশ বিশ্বাস, বসন্ত পরামাণিক, প্রদীপ্ত সামন্ত, শ্রাবণী বসু, নির্মলেন্দু শাখারু, মিন্টু প্রামাণিক, প্রদীপকুমার সামন্ত, বিকাশকলি পোল্যে, অলোককুমার ভট্টাচার্য, মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয়ব্রত চক্রবর্তী, শুভদীপ ব্যানার্জী, তোফায়েল তফাজ্জল, শুভজিৎ বোস, নিমাই আদক, বদ্রীনাথ পাল, তনয় ভট্টাচার্য, শংকর দেবনাথ, সায়ন, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজন মজুমদার, মুকুলরঞ্জন চক্রবর্তী, জাগরী চক্রবর্তী, অশ্রুরঞ্জন চক্রবর্তী, অংশুমান চক্রবর্তী।

প্রচ্ছদ এঁকেছেন অভিনন্দন চক্রবর্তী। পত্রিকাটিকে সাজিয়ে তুলেছেন অংশুমান চক্রবর্তী। এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন দেশ-বিদেশের বহু বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক। ‘ছোটর দাবি’র পরবর্তী পরিকল্পনা কী, সেইদিকেই এখন সবার নজর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*