যে সব কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য সেখানে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল কলেজ সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার থেকে আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ১০ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। গতবছর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১১১টি কলেজের অধ্যক্ষ পদ শূন্য ছিল। তাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আবেদন জমা পড়েছিল ১৫০ টি। ৮৮ জনকে নিয়োগের যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৮০ জনের প্যানেল তৈরি করে কমিশন। এরপরও অধ্যক্ষহীন থেকে যায় ৩১ টি ডিগ্রি কলেজ।
ফের অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। গত ছয় বছরে ৩২৫ জন অধ্যক্ষকে নিয়োগ করেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর। আগে যা ছিল ৬০। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুই ধাপে অবসরের সময়সীমা বাড়িয়েছেন। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যে আর কোনও কলেজ অধ্যক্ষহীন থাকবে না। যে কলেজগুলি এখন অধ্যক্ষহীন, সেখানে টিচার ইনচার্জ বা ভাইস প্রিন্সিপালরা অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রশাসনিক কাজ চালাচ্ছেন।
এদিকে, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ইনক্রিমেন্ট আছে। কিন্তু বঞ্চিত ছিলেন প্রধান শিক্ষকরা। এবার তা চালু হচ্ছে। প্রতি দশ বছরে অন্তত একবার ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) হবে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের। মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষা দপ্তর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। অর্থ দপ্তর বিষয়টিতে মঞ্জুরি দিয়েছে। যা লাগু হবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসস-এর সম্পাদক চন্দন মাইতির প্রতিক্রিয়া, “সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা অতিরিক্ত একটি ইনক্রিমেন্ট পান। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আমাদের দাবি মেনে সরকারি নির্দেশিকা জারি করল। স্কুল এবং মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারাও এবার ইনক্রিমেন্ট পাবেন। আমরা রাজ্য সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
Be the first to comment