রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে কী বামফ্রন্টের জোট হবে? রাজনৈতিক মহলে এই প্রশ্ন ঘিরেই এখন জল্পনা তুঙ্গে। রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে যে কংগ্রেস জোট করবে না একথা অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছেন এআইসিসি নিযুক্ত রাজ্যের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর মতও প্রায় এক। কিন্তু বামফ্রন্ট বলা ভালো সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে তাঁদের দরজা খোলা একথা আগেই জানিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে রাজ্য কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ সিপিএমের দুটি জেতা আসন কোনওমতেই ছাড়তে রাজি নন তারা। অন্যদিকে কংগ্রেসও জেদ ধরে বসে যে এই দুটি আসন তাদের চাই। এই দুটি আসনকে কেন্দ্র করে দুই দলের সম্পর্ক এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে অধীর, সোমেনরা রাহুল গান্ধীর শরণাপন্ন হন। তাতেও সমাধান সূত্র বেরোয় না।
রাহুল বলেন, সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে আলোচনা করে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করবেন তিনি। গৌরব গগৈও এমন কথা বলেন যে ৮ মার্চ বামফ্রন্টের মিটিংয়ের পর ওই দুটি আসনের বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেলিম ও সোমেন মিত্রের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চরমে ওঠে। একে অপরের প্রতি দোষারোপ, পারস্পরিক চাপানউতোর চলতে থাকে। শুক্রবার ৮ মার্চ রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠক হয় এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে সিপিএম দুটি আসনে তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেয়। রায়গঞ্জে মহম্মদ সেলিম এবং মুর্শিদাবাদে বদরুদ্দোজাকে প্রার্থী ঘোষণা করে বামফ্রন্ট।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এই ঘটনা শোনার পর নিজের ক্ষোভ গোপন রাখেন নি। সাংবাদিকদের সঙ্গে সন্ধ্যে সাড়ে ৭টার পরও কথা বলার সময় তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘস্থায়ী জোট প্রক্রিয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু ২০১৬ সালে যেমন বামফ্রন্ট কংগ্রেসের সঙ্গে হঠাৎ করে জোট ভেঙে দিয়েছিলো সেরকম তারা আজও হঠাৎ করেই দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিলো। তিনি বলেন এই সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।
সোমেন মিত্র আরও বলেন, এখনও জোটের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়নি। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াইয়ে কংগ্রেস এখনও আশাবাদী। তবে বামফ্রন্ট জোট না করতে আগ্রহী হলে সে দায় তাদের। কংগ্রেস যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
Be the first to comment