ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে বুধবার ফের তলব করেছে ইডি। রাহুলকে তলবের প্রতিবাদে এদিনও দিল্লির পথে নেমেছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। কংগ্রেসের দাবি, আট বছর ধরে বিজেপি দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছে। এবার রাহুল গান্ধীকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে বারবার রাহুল গান্ধীকে বিব্রত করা হচ্ছে।
গত দুদিন ধরে যেভাবে দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে পথে নেমেছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা, সেকথা মাথায় রেখে এদিনও আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিস। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও এদিনও আকবর রোডে হাজির হন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের ঢুকতে বাধা দিলে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কংগ্রেস কর্মীদের আটক করে দিল্লি পুলিস।
মঙ্গলবারের পর আবার বুধবারও তৃতীয় বারের জন্য রাহুল গান্ধীকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। সোমবার ১০ ঘন্টা, মঙ্গলবার ১১ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ইডির ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। দফায় দফায় প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁকে। অনেক প্রশ্ন। মঙ্গলবার সকালে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার পর থেকে সারাদিন ওখানেই ছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে ম্যারাথন জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডির দফতর থেকে বের হন রাহুল। কিছুক্ষণ পরেই দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে যেতে দেখা যায় রাহুলকে। সঙ্গে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। রাতেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত রবিবার থেকেই হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া। তাঁকে দেখতেই রাতে হাসপাতালে যান রাহুল। বুধবার ফের রাহুলকে তলব করেছে ইডি।
Be the first to comment