কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি পশ্চিমবঙ্গে। দোকানপাট, হাটবাজার খোলা, যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক। সকালে দুর্গাপুরে ওয়ারিয়া স্টেশনে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস আটকানোর চেষ্টা করায় পাঁচজন কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শিয়ালদা শাখার লক্ষ্মীকান্তপুরের দক্ষিণ বারাসত স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ক্যানিং লাইনেও ট্রেন চলাচল কিছক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে। হাওড়ার দাসনগরে শানপুর মোড় অবরোধের চেষ্টা করেন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। সবমিলিয়ে রাজ্যে মোতায়েন হয়েছে দেড় হাজার পুলিশকর্মী। বাড়তি সরকারি বাসও চালানো হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বনধের তেমন কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়েনি।
অন্যদিকে, কৈলাশ- মানস সরোবর তীর্থভ্রমণ কাটছাঁট করে দিল্লি ফিরে মিছিলে পা মেলালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেসের ডাকা ভারত বনধ শুরু হওয়ার আগে রাজঘাট থেকে রামলীলা ময়দান পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতা গুলাম নবি আজাদ, অশোক গেহলট, আনন্দ শর্মাদের সঙ্গে মিছিলে হাঁটলেন তিনি। ধরনায় আসেন মনোহন, সোনিয়াও। ১২ সেপ্টেম্বর তাঁর ফেরার কথা ছিল। একটি পেট্রোল পাম্পেও তাঁর যাওয়ার কথা। মোট ২১টি দল এই বনধ সমর্থন করছে। গুজরাতের ভারুচ, দেহজে হাইওয়ে অবরোধ করা হয়। অবরুদ্ধ হয় ভিলোড়া, হিম্মতনগর হাইওয়ে। দেড়শোটিরও বেশি রুটে সরকারি বাস বন্ধ রয়েছে। আরাবলি, পোরবন্দর, পাঁচমহলে সরকারি বাস চলছে না।
বিহারে দানাপুরে আরজেডি সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে ৩০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে দেয়। বিকেলে সব বিরোধী দলের একটি যৌথ মিছিল গান্ধি ময়দান থেকে বেরোনোর কথা। মুম্বইয়ে অনেক জায়গায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বেশকিছু বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। তেলেঙ্গানাতেও রাস্তায় নেমেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। সরকারি বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে কর্নাটকে। ওডিশার সম্বলপুরে বনধ সমর্থকরা ভোরেই ট্রেন আটকে দেয়। বিশাখাপত্তনমে সিপিএম কর্মীরা পথে নেমে মিছিল করছেন। তেলুগু দেশম এই বনধের সমর্থক। ওডিশার বোসাঙ্গির ও হায়দরাবাদের মুশিরাবাদ বাস ডিপোয় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বনধ সমর্থন করছে শাসক সিপিএমও।
Be the first to comment