কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতির বাড়িতে চললো গুলি, গোষ্ঠীকোন্দলের দাবি বিজেপির

Spread the love

কোচবিহারের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়িতে চলল হামলা। জিরানপুরের পৈতৃক বাড়ির ভিতরে ঢুকে গুলিও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই বাড়িতে অবশ্য পার্থপ্রতিম থাকেন না। তাঁর বাবা-মা থাকেন। জানা যাচ্ছে, নাটাবাড়ির বিধানসভার অন্তর্গত জিরানপুরের পৈতৃক বাড়িতে পার্থের বাবা, মা, দাদা, বৌদি-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকেন। সেখানে থাকেন না পার্থ। তিনি কোচবিহার শহরের গোলবাগান এলাকায় থাকেন।

পার্থের পরিবারের দাবি, রবিবার দুপুরে একটি মারুতি গাড়ি করে পাঁচ-ছ’জন দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে আসে। দরজা দিয়ে ভিতরে ঢুকে গুলি চালাতে থাকে বলে অভিযোগ। যদিও পার্থের পরিবারের কোনও সদস্য হতাহত হননি। পরিবারের দাবি, যে দরজা দিয়ে দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল, তা এমনিতে খোলাই থাকে। ফলে বাড়ির ভিতরে চলে আসতে বেগ পেতে হয়নি। 

তবে পার্থ জানিয়েছেন, দুপুর দুটো নাগাদ তাঁর বাবা ফোন করেছিলেন। গুলি চালানোর বিষয়ে জানান। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে সেই হামলার ঘটনায় কারা জড়িত আছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন। ব্যক্তিগতভাবে তিনিও খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি। ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ আছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও ধন্দে আছেন বলে পার্থ। তৃণমূল নেতার কথায়, ‘আমার এই বাড়ির সামনে হলে বুঝতে পারতাম যে কোনও উদ্দেশ্য আছে। কিন্তু ওই বাড়ির সামনে হওয়ায় ধন্দে আছি।’

যদিও বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায়ের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই পার্থের পৈতৃক বাাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কোচবিহারে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল জেলায় চরম আকার ধারণ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন রাভা।

তারইমধ্যে পার্থের জিরানপুরের বাড়িতে গিয়েছে পুলিশ। সেখানে গুলির খোলা পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে শুধুমাত্র জানানো হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*