উদ্বেগের মাঝে কিছুটা স্বস্তি। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার কিছুটা নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ। তবে সংক্রমণের নিরিখে এদিনও শীর্ষে কলকাতা। ভাইরাসের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৭ জন। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় কিছুটা কম। দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও এখনও শীর্ষে কলকাতা। কারণ, সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৯ জন। সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ১৮০ জন।
তারপরেই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ওই জেলায় ৪৫ জন কোভিড আক্রান্ত। দক্ষিণবঙ্গে করোনা চোখরাঙাচ্ছে। তবে উত্তরের জেলাগুলিতে এখনও সংক্রমণ সেভাবে বাড়েনি। শুক্রবার বাঁকুড়া, কালিম্পং এবং পুরুলিয়ায় কোভিড আক্রান্ত হননি কেউ। যা স্বস্তি জোগাচ্ছে স্থানীয়দের। পজিটিভ কেস বেড়ে দাঁড়াল ২০ লক্ষ ২৪ হাজার ২৪৪।
বৃহস্পতিবার করোনা বাংলার কারও প্রাণ কাড়তে পারেনি। তবে শুক্রবার ভাইরাসের থাবায় ঘটেছে প্রাণহানি। এদিন মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এখনও পর্যন্ত বঙ্গে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২১ হাজার ২১৪ জন। মৃত্যুহার ১.০৫ শতাংশ। করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে স্বস্তি জোগাচ্ছে সুস্থতা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়েছেন ১৯৫ জন। তার ফলে বঙ্গে কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫৫০ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৮ শতাংশ।
২০২০ সালের শুরু থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। সেই সময় থেকে করোনাকে রুখতে টেস্টিংয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। তবে ইদানীং টেস্টিংয়ের প্রবণতা কিছুটা কমেছে। শুক্রবারও কমেছে টেস্টিং। এদিন ৯ হাজার ৩২৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ কোটি ৫০ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পজিটিভিটি রেট ৭.০৪ শতাংশ। ভাইরাস মোকাবিলায় টিকাকরণের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ৬৮ হাজার ৫৬৮ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ৩৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬১১টি প্রিকশন ডোজ দেওয়া হয়েছে। করোনা বাড়বাড়ন্তের মাঝে ফের সাবধান হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ভিড় জায়গায় মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ তাঁদের।
Be the first to comment