করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট কমেছে অনেকটাই। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। সেই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর আরও জোর দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার ২৩,১২৩ কোটি টাকা প্যাকেজে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যে প্যাকেজের ১৫,০০০ কোটি টাকার মতো দেবে মোদী সরকার। বাকি টাকা দেবে রাজ্য।
নয়া দায়িত্ব পাওয়ার পরেরদিনই সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া বলেন, ‘আমরা এখন জানি যে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কী কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে দ্বিতীয় দফায় আমরা ২৩,১২৩ কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করছি। (গত বছর এপ্রিলে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল)।’ তিনি জানান, ভবিষ্যতে যাতে দেশকে চাপের মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য অক্সিজেন সরবরাহ, বেড ও ওষুধের প্রাপ্যতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে সব রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তৈরি করা হবে ভবিষ্যতের রোডম্যাপ।
প্যাকেজের আওতায় কী কী পরিকল্পনা আছে?
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সেজন্য শিশুদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় জোর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার ত্রাণ তহবিলের আওতায় দেশে ২০,০০০ নয়া আইসিইউ বেড তৈরি করা হবে। ২০ শতাংশ শিশুদের জন্য থাকবে বা শিশু এবং বড়দের জন্য ব্যবহার করা হবে।
দেশের ৭৩৬ টি জেলায় শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ইউনিট তৈরি করার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য ও জেলাস্তরে এক কোটি ওষুধ গচ্ছিত রাখা হবে। প্রতিটি জেলায় রাখা হবে ১০,০০০ লিটার অক্সিজেন। ২.৪ লাখ বেড তৈরির বন্দোবস্ত করা হবে। রাজ্যস্তরে মেডিকেল ইন্টার্ন এবং বিএসসি নার্সিং পড়ুয়ারা স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত থাকবেন। টেলিমেডিসিন, টেলি-কনসালটেশনের উপর জোর দেওয়া হবে।
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, আগামী ন’মাসে সেই প্যাকেজ কার্যকর হবে। তিনি বলেন, ‘সর্বোচ্চ সময়সীমা হচ্ছে ন’মাস। পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে আমরা আগেও করতে পারি।’ যদিও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। সেই আশঙ্কায় যদি সত্যি হয়, তখন কি আদৌও পরিকাঠামো গড়ে উঠবে?
Be the first to comment