বাঁশদ্রোণী থানায় ই-মেল পাঠিয়ে আত্মহত্যা যুগলের

Spread the love

ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার সাক্ষী থেকেছে কলকাতা ৷ এবার ই-মেল পাঠিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল শহরে৷ বুধবার সকালে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার গড়িয়ার ব্রহ্মপুত্র মোড় এলাকার ফ্ল্যাট থেকে এক যুগলের দেহ উদ্ধার করে পুলিস ৷ আত্মহত্যার আগে বাঁশদ্রোণীর থানায় ই-মেল পাঠিয়েছিলেন তাঁরা ৷ সেই ই-মেল পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস ৷ কিন্তু তার আগেই দু’জনের মৃত্যু ঘটে ৷ পুলিস জানিয়েছে, নিহতরা হল হৃষীকেশ পাল (২৮) এবং রিয়া সরকার (৩০) ৷ ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, বিষক্রিয়ায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। আগে ওষুধের ব্যবসা ছিল এই যুগলের। পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অতিরিক্ত ডোজের ওষুধের বিষক্রিয়াতেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।

তবে থানায় ই-মেল পাঠিয়ে আত্মহত্যার এমন নজির আর রয়েছে কিনা মনে করতে পারছে না পুলিস ৷ সূত্রের খবর, ই-মেলটি নাকি প্রকাশ্যে না আনার আবেদন জানিয়েছিলেন হৃষীকেশ ও রিয়া৷ এরা দু’জন গড়িয়ার ওই ফ্ল্যাটে লিভ-ইন করতেন৷ বুধবার সকালে দোতলার ফ্ল্যাটে দুজনকে ঘরের মধ্যেই পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা ২০ মিনিট মিনিট নাগাদ খবর পেয়েই পুলিস ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছয়। গিয়ে দেখে ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ফ্ল্যাট মালিকের ভাইয়ের থেকে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিস দরজা খোলে। ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, একটি ঘরের বিছানায় দুজনের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। ঘরের ভিতরে বেশ কিছু ওষুধের পাতা পাওয়া যায়। সঙ্গে মেলে একটি আত্মঘাতী হওয়ার বয়ান।

সুইসাইড নোটে তাঁরা লিখেছেন, তাঁদের একটি মেডিসিন ডিস্ট্রিবিউটরশিপ ছিল। কিন্তু, একটি দুর্ঘটনার পর হৃষিকেশ সেই ডিস্ট্রিবিউটরশিপ বেচে দিতে বাধ্য হন। তারপর থেকেই তাঁরা আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। আর অভাবের কারণেই তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বলে লেখা রয়েছে ওই নোটে।পুলিস দেহ দুটি উদ্ধার করে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দুটি তারপর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এখনও পর্যন্ত পুলিসের কাছে অভিযোগ জমা পড়েনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*