অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথম দফায় ১৬টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠক করে ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট, কৃষ্ণনগর, দমদম, যাদবপুর, বাঁকুড়া, বর্ধমান পূর্ব, আসানসোল, কলকাতা দক্ষিণ, হাওড়া সদর, হুগলি, শ্রীরামপুর আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এর মধ্যে সিপিএমের ১৩টি আসন ও শরিকদের ৩টি।
দমদমে সুজন চক্রবর্তী, যাদবপুরে সৃজন ভট্টাচার্য, কলকাতা দক্ষিণে সায়রা শাহ হালিম, কৃষ্ণনগরে এসএম সাদি, আসানসোলে জাহানারা খান, হাওড়া সদরে সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান পূর্বে নীরব খাঁকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। কৃষ্ণনগরে সিপিএম প্রার্থী হচ্ছেন এসএম সাদি। তমলুকে লড়বেন তরুণ আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি থেকে লড়বেন মনোদীপ ঘোষ, শ্রীরামপুরে দীপ্সিতা ধর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাঁকুড়ায় নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত, বিষ্ণপুরে শীতল কৈবদ্য, জলপাইগুড়িতে দেবরাজ বর্মন। বালুরঘাটে লড়বেন আরএসপির জয়দেব সিদ্ধান্ত, মেদিনীপুরে লড়বেন সিপিআইয়ের বিপ্লব ভট্ট, কোচবিহারে লড়বেন ফরওয়ার্ড ব্লকের নীতীশচন্দ্র রায়।
কয়েকটি আসন নিয়ে সিপিএমকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আলোচনা করতে হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম দমদম। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজনকে সেখানে লড়তে পাঠাল সিপিএম। সূত্রের খবর, এক জন চিকিৎসককে সিপিএম দমদমে দাঁড় করাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর স্ত্রী বেঁকে বসায় তিনি প্রার্থী হতে রাজি হননি। উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য মুখ না পেয়ে শেষমেশ সুজনকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিন।
সিপিএমের সঙ্গে কথা চলাকালীনই বৃহস্পতিবার আইএসএফ ঘোষণা করে দিয়েছে, তারা আটটি আসনে লড়বে। তার মধ্যে রয়েছে সিপিএমের প্রার্থী দেওয়া যাদবপুরও। তবে আইএসএফ শর্ত দিয়েছে, যাদবপুরে যদি আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যকে সিপিএম প্রার্থী করে, তা হলে তারা দাবি থেকে সরে আসবে।
বিমান অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আইএসএফের ঘোষণার দায় তাঁরা নেবেন না। আর যাদবপুরে লড়বেন সৃজনই। পাশাপাশিই, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি জিইয়ে রেখেছেন বিমান। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মহম্মদ সেলিম কথা বলছেন। তা এখনও চূড়ান্ত জায়গায় যায়নি। শনিবার ফের বামফ্রন্টের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন বিমান।
Be the first to comment