অবসরের পরে পেনশন দেওয়ার প্রস্তাব সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির। অবসরের পরে সদস্যদের আর্থিক সাহায্য বা পেনশন দেওয়া হবে, এই মর্মে রাজ্যগুলিকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে। ইতিমধ্যেই কেরল এই পরামর্শ মেনে পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। বাংলা-সহ অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে চলছে আলোচনা।
সিপিএমের সর্বক্ষণের কর্মীরা নিয়মিত দলের তরফে ভাতা পান। এবার অবসরের পর মিলবে পেনশন। কেরল সিপিএমের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে সকল সদস্যরা নিয়ম মেনে ৭৫ বছরের সীমা মেনে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন, তাঁদের পেনশন দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে তাঁদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দলের তরফেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই কেরলের প্রতিটি জেলা কমিটিকে ওই খাতে তহবিল তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাক্তন বিধায়ক বা সাংসদরা এই আওতার বাইরে।
কিন্তু কীভাবে ধার্য করা হবে ভাতার পরিমাণ? জানা গিয়েছে, রাজ্যগুলিতে দলের আয় যেমন হবে, তার উপর ভিত্তি করেই ঠিক করা হবে ভাতার পরিমাণ। কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সব রাজ্যের পরিস্থিতি এক নয়। তাই আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী পেনশনের বন্দোবস্ত করা হবে। তবে বয়স নীতি মেনে যাঁরা সরে দাঁড়াবেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা সক্ষম তাঁদের দলের কাজে যুক্ত রাখাটাও জরুরি।
উল্লেখ্য, বাংলার নির্বাচনে ভরাডুবির পর সিপিএমের রণকৌশল ও দলের নেতৃত্বদের নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। সেই সময়ে আলিমুদ্দিনের তরফে ধার্য করা হয় বয়সসীমা। ঠিক হয় রাজ্য, জেলা ও এরিয়া কমিটির ক্ষেত্রে বয়স হবে যথাক্রমে ৭২, ৭০, ৬৫ বছর। এবার কি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মেনে কেরলের পথে হেঁটে সদস্যদের অবসরের পরবর্তীতে পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নেবে আলিমুদ্দিনও? চলছে জল্পনা।
Be the first to comment