রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে এ বার রাজ্য সরকারকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট)। ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্যাটের কাছে এই হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
বুধবার স্যাট-এর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল ডিএ মামলার শুনানি। সেই শুনানিতে বিচারপতি সুবেশ দাস এবং রঞ্জিতকুমার বাগ-এর ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে দুটি বিষয় স্পষ্ট করতে বলেছে। কী সেই দুটি বিষয়? এক, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক। দুই, দিল্লি ও চেন্নাইতে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে সমান ডিএ।
প্রসঙ্গত, এই স্যাটই ডিএ নিয়ে আইএনটিইউসি-র করা মামলায় সরকারের সুরে বলেছিল ডিএ সরকারের ‘দয়ার দান।’ এটা কোনও সরকারি কর্মচারীর অধিকার নয়। সরকার ইচ্ছে হলে দেবে। ইচ্ছে না হলে দেবে না। কিন্তু এই মামলা স্যাটের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে যায় হাইকোর্টে। উচ্চ আদালতে ডিএ মামলায় ধাক্কা খেতে হয় সরকারকে। গত ৩১ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে দেবাশিস করগুপ্ত এবং শেখর ববি সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ স্যাটের ওই রায়কে খারিজ করে দেয়। পুনর্বিবেচনার জন্য ট্রাইবুনালে পাঠিয়ে হাইকোর্ট বলে, ডিএ দয়ার দান নয়। এটা সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। সেই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা যে হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদেরও সেই এক হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। মুদ্রাস্ফীতির হারের ভিত্তিতেই ডিএ-র পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে সরকারকে।
ওই দিন হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল দু’সপ্তাহের মধ্যে স্যাটকে এই মামলা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়েছিল যে, দু’মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে স্যাটকে। এ দিন সেই মামলা পুনরায় গ্রহণ করে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল স্যাট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৪ অক্টোবর।
Be the first to comment