দাউদ ঘনিষ্ঠদের খোঁজে অভিযান NIA-র, মুম্বইয়ের ২০টি জায়গায় তল্লাশি গোয়েন্দাদের

Spread the love

ভারতে শিকড় আরও মজবুত করছে ‘ডি-কোম্পানি’! হাওয়ালা মারফত কোটি কোটি টাকা পৌঁছে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির হাতে। এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার আইএসআইয়ের বরপুত্র দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গীদের খোঁজে মুম্বইয়ের প্রায় কুড়িটি জায়গায় অভিযান চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এনআইএ সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের সান্টাক্রুজ, নাগপদ, পরেল ও মালাড-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। তল্লাশি চলাকালীন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সেলিম ফ্রুট নামের এক ব্যক্তিকে মুম্বইয়ের বাড়ি থকে আটক করেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বলে রাখা ভাল, মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। একইসঙ্গে, দাউদের ভাই হাজী আনিস ওরফে আনিস ইব্রাহিম শেখ, ছোটা শকিল, জাভেদ পটেল ওরফে জাভেদ চিকনা, ইব্রাহিম মুস্তাক আবদুল রাজ্জাক মেমন ওরফে টাইগার মেমনর বিরুদ্ধেও একই ধারায় মামলা করা হয়েছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় দাউদ। তারপর বিদেশ থেকেই মুম্বইয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ডের রাশ ধরে সে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমেই অন্ধকার জগতের মুকুটহীন বাদশাহ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে। আর সেই রাজত্বেই লাগাম পরাতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। পাশাপাশি, দাউদ কোম্পানির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয় মুম্বই শহরে। মোট ১৩ টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যাতে মৃত্যু হয় ২৫৭ জনের, আহত হন ৭১৩ জন। এই বিস্ফোরণের মূলচক্রী ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। সেই অর্থে এটাই দেশের প্রথম জঙ্গি হামলার ঘটনা, যা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এরপর থেকেই ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র মূল চক্রী টাইগার মেনন ও দাউদ-সহ বাকি অভিযুক্তদের ধরতে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ভারত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*