রোজদিন ডেস্ক :- বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। আর তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে এদিন আজাদ ময়দানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড থেকে খেলার জগৎ, বাণিজ্য দুনিয়া থেকে শুরু করে গ্ল্যামার দুনিয়ার একঝাঁক তারকা। কে নেই তালিকায়? শাহরুখ খান, সলমন খান, রণবীর কাপুর, রণবীর সিং, শচীন তেন্ডুলকর, তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি সহ ঝাঁকে ঝাঁকে তারাদের মেলা বসল নীল আরব সাগরের পাড়ে।
মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানের অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আর সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেই উজ্জ্বল উপস্থিতি বলিউড তারকাদের। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দু’জন-এনসিপির অজিত পওয়ার এবং শিব সেনার একনাথ শিণ্ডে।
এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দুই রণবীরকে দেখা গেল একফ্রেমে। একে-অপরকে জড়িয়ে কুশল বিনিময় করলেন। আজাদ ময়দানের অনুষ্ঠানে ক্যামেরাবন্দি হল সেই দৃশ্য। মুকেশ আম্বানির সঙ্গে একফ্রেমে ধরা দিলেন কখনও শচিন তেন্ডুলকর, আবার কখনও বা সলমন খান। শাহরুখ-সলমনকে আলিঙ্গন করতেও দেখা গেল। স্বামী সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে এলেন বিদ্যা বালন। প্রেমিক শিখর পাহাড়িয়ার সঙ্গে দেখা গেল জাহ্নবী কাপুরকে। এছাড়াও মাধুরী দীক্ষিত, ভিকি কৌশল, সঞ্জয় দত্ত, খুশি কাপুরের সঙ্গে আসেন তাঁর বাবা বনি কাপুর, অর্জুন কাপুররা উপস্থিত হয়েছিলেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। এছাড়াও ছিলেন বিজেপির অসংখ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও দলের নেতারা। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রমুখ।
এই নিয়ে তৃতীয়বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে শপথবাক্য পাঠ করান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। যদিও মন্ত্রীসভার বাকি সদস্যদের শপথ হয়নি এদিন। মহারাষ্ট্রে এই সরকার গঠন নিয়ে এতদিন কম টানাপোড়েন চলেনি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিন্ডেকে নিয়ে টানাপোড়েন চলেছে। দেবেন্দ্র ফড়নবিশের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিতে রাজি হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে।
প্রসঙ্গত, নাগপুরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। ছাত্র বয়স থেকেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য হিসেবে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সেই থেকে রাজনীতি করে ১৯৮৯ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে কনিষ্ঠতম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এবং মাত্র ২৭ বছর বয়সে নাগপুরের কনিষ্ঠতম মেয়র হন দেবেন্দ্র। দেবেন্দ্রর বাবা গঙ্গাধররাও ফড়নবিশও ছিলেন প্রখ্যাত রাজনৈতিক ব্যাক্তি।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার সময় দেবেন্দ্রর বাবাকে জেলে যেতে হয়। সেই সময় দেবেন্দ্র রাগে ইন্দিরা কনভেন্ট নামে স্কুল ছেড়ে দিয়ে সরস্বতী বিদ্যালয় নামে একটি স্কুলে নতুন করে ভর্তি হন। তিনি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পাশ করেন আইনে স্নাতক হওয়ার পর। রাজনীতির শুরুতে দেবেন্দ্রর কাজ ছিল দেওয়ালে পোস্টার সাঁটা ও দেওয়াল লিখন করা। পরপর দুবার নাগপুরের মেয়র হন। ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রের অষ্টাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গদিতে বসেন।
Be the first to comment