দেউচা পাঁচামির জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। জমি অধিগ্রহণের সময় ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে পরিবেশ আইনের ছাড়পত্র নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। আজ, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হলফনামা জমা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীরা তাঁদের মতামত দেবে। ১৮ জুলাই এই মামলার শুনানি।
বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে তৈরি হতে চলেছে দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা খনি ৷ এই প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা৷ তাতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের ৷ রাজ্য সরকারের এই কয়লা খনি-বন্দর প্রকল্পে সাধারণ মানুষের সমস্যা হবে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা ৷ যদিও ইতিমধ্যে দেউচা পাঁচামির জমিদাতাদের নবান্নে ডেকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
মাস কয়েক আগেই ২০৩ জনকে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম থেকেই ওই প্রকল্পের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমেছে বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা। তাদের সঙ্গে এপ্রিলে নবান্নে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সরকারের হাতে বর্তমানে ১ হাজার একর জমি রয়েছে। বাকি জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
Be the first to comment