রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার উপর বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সোমবার রাজ্যপাল রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ দুঘণ্টা রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় বলে বৈঠকের পর রাজ্যপাল টুইটে জানান। টুইটেই তিনি লেখেন, আলোচনায় শিক্ষার নানা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, তখন শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষাসচিবকে রাজভবনে ডেকে পাঠানো নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বৈঠকে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির কথাও উঠে আসে। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বলে শিক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে মন্তব্য মন্তব্য এড়িয়ে যান। তবে রাজ্যপাল বৈঠকে জানান, যেভাবে দুর্নীতি ইস্যু সামনে এসেছে, তাতে রাজ্যের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হচ্ছে। এর জন্যই স্বচ্ছতার প্রয়োজন।
গত সপ্তাহেও রাজ্যপাল রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রীকে। তবে ওই আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সেদিনও কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে রাজ্যপাল তাঁর আপত্তির কথা খোলাখুলিই জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, আইন এবং নিয়ম কানুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাজ্য সরকার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছে। কোনও ক্ষেত্রেই আচার্য হিসেবে তাঁর মতামত পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
রাজ্যপালের এই অভিযোগ সম্পর্কে শাসকদল প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেনি। খোদ শিক্ষামন্ত্রী বেশ কিছুদিন আগেই দাবি করেন, রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করে দেওয়া উচিত। দরকার হলে এ ব্যাপারে আইন সংশোধনও করা যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন। তাঁর ওই মন্তব্য ঘিরে শিক্ষা মহলে জোর বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও এখন বিতর্কটি ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের শিক্ষা মহলে আলোচনা চলছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে। তাতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। ব্রাত্যর দাবি, যে আমলে দুর্নীতির অভিযোগের কথা উঠছে, তখন তিনি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন না। রাজভবন সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
Be the first to comment