বিএসএফের কাজের পরিধি বৃদ্ধি বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। বিধাসভায় পাশ হওয়া বিরোধী প্রস্তাবের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। পাশাপাশি সিবিআই এবং ইডির বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ সংক্রান্ত তথ্যও চাইলেন তিনি।
বাংলা-সহ তিন রাজ্যে কাজের সীমা বেড়েছে বিএসএফের। ১৫ কিলোমিটার নয়, এবার থেকে রাজ্যের ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে বিএসএফ। এমনকী রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ, গ্রেপ্তারিও করতে পারেন বিএসএফ জওয়ানরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় শুধু বাংলা নয়, অসম ও পাঞ্জাবেও বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়। অমিত শাহের মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। গত মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয় বিএসএফের কাজের পরিধি বৃদ্ধি বিরোধী প্রস্তাব।
এই প্রস্তাব পাশ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কত ভোটাভুটিতে বিএসএফের কাজের পরিধি বৃদ্ধি বিরোধী প্রস্তাব পাশ হল, প্রস্তাবে কী বলা হয়েছে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চান তিনি। এছাড়াও ইডি, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগও তুলেছিলেন তাপস রায়। সে সংক্রান্ত তথ্যও চান তিনি।
তবে এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল মহোদয় ওই আসনে বসে প্রতিনিয়ত বিধানসভার কার্যপ্রণালীকে প্রায় প্রতিবার প্রতিদিন প্রতিরকমভাবে ব্যহত করার চেষ্টা করছেন। আমাদের রাজ্যে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত। বিধানসভার কার্যপ্রণালী অধ্যক্ষের নেতৃত্বে চলবে। বিধানসভার কার্যবিধি অনুযায়ী ১৬৯ ধারায় বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তাব গ্রহণ করেছি এবং তা গৃহীত হয়েছে। এটা রাজ্যপাল মহোদয়ের জানা উচিত।” উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়ান রাজ্যপাল। বিএসএফের কাজের পরিধি বৃদ্ধি বিরোধী প্রস্তাব নিয়েও আরও একবার যে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
Be the first to comment