রাজ্যে ১৫ দিনের কার্যত লকডাউন ঘোষণা হতেই বাড়ি ফেরার হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে অন্যান্য জেলা এবং রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে। এমনটা যে হতে চলেছে, সেই অনুমান আগে থেকেই ছিল রাজ্য সরকারের। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নর তরফে ১০০ টি অতিরিক্ত বাসও চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাড়ি ফেরার তাড়ায় যে ভিড়ের ছবি এ দিন ধর্মতলার এসপ্ল্যানেড চত্বরে দেখা গেল, তা সংক্রণের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলা চলে।
শনিবার নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামিকাল সকাল ৬ টা থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রাজ্যে মেট্রো, বাস, ফেরি, অটো-সহ সমস্ত গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ হচ্ছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে কিছু কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণার পরই ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ডে বাড়ি ফেরার জন্য বাস ধরতে লম্বা লাইন দেখা যায়। থিকথিক ভিড় জমে যায় বাস টার্মিনাস চত্বরে। যদিও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও গন্তব্যে যাওয়ার বাস বেশিরভাগ মানুষই পাচ্ছেন না বলে দাবি।
নবান্ন সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০০ টি অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশন থেকে এই বাসগুলি ছাড়বে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই এই বাসগুলি যাবে। এর পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনকেও আপাতত কয়েকটি অতিরিক্ত বাস চালাতে বলা হয়েছে।
তবে যে সংক্রমণ রুখতে আরও কড়াকড়ি রাজ্য সরকার জারি করেছে, যেই সংক্রমণের ভয়টাই কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আজকের ধর্মতলার ছবিটা। আসানসোল, বর্ধমান থেকে শুরু আরামবাগ, প্রত্যেক জায়গার বাসেই থিকথিকে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিকেলেই যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তবে সন্ধ্যা গড়ালে কী হবে ভেবেই আতঙ্ক বাড়ছে। সেই কথা মাথায় রেখেই অতিরিক্ত ১০০ টি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
Be the first to comment