করোনাবিধি মেনেই দিঘায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সমুদ্রেও পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এর মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াল দিঘা সমুদ্রের কালো জল। শুধু জলের রং পরিবর্তন নয়, ওই কালো-ঘোলাটে জলে নেমে শারীরিক অস্বস্তিও বোধ করেন পর্যটকেরা। যা নিয়ে সপ্তাহান্তে সৈকত শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে নটা-দশটা নাগাদ সমুদ্রে জোয়ার আসে। উত্তাল হয়ে ওঠে দিঘা সমুদ্র। ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। সেই সময়ই সমুদ্রের জল একেবারে ঘোলাটে হয়ে কালো রং ধারণ করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, ‘হঠাৎ করেই সমুদ্রের জল কালো হয়ে ওঠে।’ সেই সময় বহু পর্যটক সমুদ্রস্নানে নেমেছিলেন। কালো জল শরীরে লাগায় শারীরিক অস্বস্তিও বোধ করেন তাঁরা। এরপরই ঝুঁকি এড়াতে কালো জল দেখা মাত্রই পর্যটকদের সমুদ্র থেকে তুলে দেন নুলিয়ারা। যদিও সমুদ্রের জলের এই রং বদলের কারণ তাঁদের কাছেও অজানা।’
এই বিষয়ে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল জানান, বিষয়টি নজরে এসেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
বিকাশ ঘোড়ুই নামে এক নুলিয়ার কথায়, ‘এদিন জোয়ারের সময় হঠাৎ করেই সমুদ্রের জল কালো-ঘোলাটে হয়ে যায়। এরকম সচরাচর দেখা যায় না। কেন সমুদ্রের জল কালো হল তা প্রশাসন খতিয়ে দেখছে।’
প্রশাসন সূত্রে খবর, দিঘা সমুদ্রের জল আগেও বেশ কয়েকবার ঘোলাটে হয়েছে। তবে একেবারে কালো হয়ে যাওয়ার ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না। কী কারণে এরকম ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিঘা মোহনা থানার ওসি সত্যজিৎ চানক্য জানান, জলোচ্ছ্বাসের জন্য আপাতত পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। কেউ যাতে সমুদ্রে না নামে সে বিষয়ে দিঘা পুলিশ ও নুলিয়ারা সমুদ্র চত্বরে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।
Be the first to comment