অক্ষয়া তৃতীয়ার দিন সকলের জন্য খুলে যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- দিঘার নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী বছর অক্ষয়া তৃতীয়ার দিন সকলের জন্য খুলে যাবে পুরি আদলে তৈরি দিঘার জগন্নাথ মন্দির। বুধবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান এবারের রথযাত্রার সূচনা তিনি করবেন বলে। প্রতি বছর কলকাতার ইসকন মন্দিরে রথযাত্রার সূচনা করেন তিনি। এবার থাকবেন দিঘার মন্দিরে। কলকাতার ইসকনে যাবেন উল্টোরথের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। শুধু তাই নয়, রথযাত্রা শুরুর আগে সোনার ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিস্কার করা হয় পুরীতে। এখানেও তা হবে। আর এই সোনার ঝাড়ুর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ৫ লাখ টাকা দেবেন। সরকারি কোষাগার নয়, তাঁর ব্যক্তিগত সঞ্চয় থেকেই এই অর্থ দেবেন বলে জানান মমতা।
২০১৯ সালে দিঘায় এই জগন্নাথ মন্দির তৈরি হওয়ার কথা হলেও, করোনার সময় সেই প্রক্রিয়া খানিক ধাক্কা খায়। এরপর করোনা সময় চলে গেলে ফের মন্দিরের কাজ শুরু হয়। কাজ কতটা হল তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বিকেলেই দিঘায় পৌঁছে যান মমতা। এরপর বুধবার দীর্ঘ সময় ধরে মন্দিরের বিভিন্ন অংশের কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মন্দিরের বাকি থাকা কাজ শেষ করতে এবং মন্দির পরিচালন করতে একটি ট্রাস্টি বোর্ড তৈরি করেছে সরকার। তাতে মোট ১৩ জন সদস্য থাকছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে অবশ্য এই বোর্ডে থাকছেন না। এই ১৩ জনের মধ্যে পুরীর মন্দিরের পাঁচ প্রতিনিধি থাকবেন। আরও চারজন থাকছেন সনাতনী প্রতিনিধি হিসেবে। এর পাশাপাশি ট্রাস্টি বোর্ডের নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদেরও ট্রাস্টি বোর্ডে রাখা হয়েছে বলে মমতা জানান।
মন্দিরের কোথায় কী থাকবে তাও আজ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানন, মন্দিরের প্রবেশদ্বারে চৈতন্য মহাপ্রভুর একটি মূর্তি থাকবে। আর ওই প্রবেশদ্বারের নাম হবে চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম। তাছাড়া পুরীর মন্দিরের মতো প্রতিদিন ধ্বজা তোলার ব্যবস্থাও থাকবে। নিরাপত্তার দিকটা মাথায় রেখে পুলিশ পোস্ট হবে। মন্দির চত্বরে বাংলার গজা থেকে শুরু করে গুজিয়া এবং প্যাঁড়া পাওয়া যাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*