অমিত শাহর সফরের ঠিক আগে আগেই ফের বিস্ফোরণ ঘটালেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দাবি, দলকে সামলাতে রাজ্যে শক্তিশালী অভিভাবক প্রয়োজন। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে নাকি সেটাই চেয়েছেন তিনি।
বিধানসভা ভোটের পর বঙ্গ বিজেপির ছন্নছাড়া অবস্থা। জেলায় জেলায় বিদ্রোহ। রাজ্যে ক্ষমতাসীন শিবিরের সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী ও অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে দলের বড় অংশ। যার জেরে পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যকে বদলের দাবি উঠেছে। বঙ্গে পার্টি বাঁচাতে শুধু শাহই নন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পরপর রাজ্য সফরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৫ ও ৬ মে দু’দিনের সরকারি সফরের মাঝেও দলীয় বৈঠক করে দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা ফেরানোর চেষ্টা করবেন শাহ। ড্যামেজ কন্ট্রোল কীভাবে করবেন সেটাই এখন বড় মাথাব্যথা দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতির।
দিলীপ ঘোষের দাবি, “দলে কোনও দ্বন্দ্বের বাতাবরণ নেই। নাড্ডাজিকে বলেছি, ৩৮ শতাংশ ভোট আছে আমাদের। ঠিক দাঁড়াতে পারব। আমরাই পার্টিকে দাঁড় করিয়েছি। একজন সিনিয়র নেতা দরকার যিনি অভিভাবক হয়ে কর্মীদের সামলাবেন।” দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা পাঠানোর জন্য দিলীপ ঘোষ দিল্লির কাছে যে দাবি জানিয়ে এসেছেন সেটা এদিন স্পষ্ট করে দেন। দলেই প্রশ্ন, একের পর এক নির্বাচনে ব্যর্থ, কর্মীদের বড় অংশের ক্ষোভের মুখে পড়া সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর উপর কি আস্থা হারাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি? তাই সিনিয়র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক চাইছে তারা। খাতায়-কলমে সহ-পর্যবেক্ষক হলেও বিধানসভা ভোটের পর থেকে বাংলায় বিজেপির সাংগঠনিক সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন মালব্যই। তাঁর আমলেই বঙ্গ বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। তাই দলের লাগাতার ব্যর্থতার দায় যে তাঁর উপরও বর্তায়, দিলীপের মন্তব্যে সেটাই স্পষ্ট।
বিজেপির এই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরাসরি নাক গলাতে না চাইলেও ঘুরিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। শাসকদলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। আদি, তৎকাল, পরিযায়ী বিজেপির ব্যাপার। রাজ্যে সংগঠনের কিছু হচ্ছে না, তা নাড্ডাকে জানিয়েছেন দিলীপ। পরিযায়ী বিজেপির অপদার্থদের বাদ দিতে বলেছেন নাড্ডাকে। অবধারিত উপসংহার বিজেপির। ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে হেনস্তা করে বিজেপি টিকে আছে। রাজ্য সভাপতি পদটিকে অধিগ্রহণ করেছেন দিলীপ ঘোষ।”
Be the first to comment