গত বিধানসভা ভোটের আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল বাংলার রাজনীতির আঙিনায়। গেরুয়া শিবিরের কাছের মানুষ হয়ে গিয়েছেন সৌরভ, এমন রটনাও হয়েছিল বাংলা জুড়ে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও তাঁর ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন বলে সূত্রের খবর। তবে সেসব জল্পনায় সেই সময়ই জল ঢেলে দিয়েছিলেন সৌরভ ঘনিষ্ঠ বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। সৌরভ নিজেও রাজনীতির প্রসঙ্গে কোনও মতামত দেননি। এমনকী মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়াতেও দেখা যায়নি তাঁকে।
তবে সেই সৌরভের বাড়িতে বৃহস্পতিবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাদা ও দিদির এই সাক্ষাৎকার কী সবটাই রাজনীতি বর্জিত? নাকি রাজনীতির আঙিনায় নতুন ইনিংস শুরু করার জন্য তৈরি হচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন? এবার এই প্রশ্নই ঘুরছে বিভিন্ন মহলে। আর সেটাই উসকে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দীনেশ ত্রিবেদী ও মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে আসা দুটি আসনই বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে। তবে কি মহারাজকে সেই রাজ্যসভার সদস্য করার প্রস্তাবই দিয়ে এলেন তৃণমূল নেত্রী? নাকি শুধুই বেহালার বাড়িতে গিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন? এসব নানা জল্পনা যখন বাংলা জুড়ে তখনই মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যদি রাজ্যসভার সাংসদ হন তবে আমাদের আপত্তি নেই। তবে যতই মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে সৌরভের বাড়িতে যান না কেন, আমরা জানি রাজনীতির বাইরে নেতানেত্রীরা এক পাও কোথাও রাখতে পারেন না।’
Be the first to comment