গ্রামীণ রাস্তা নিয়ে পুলিশ-সহ একাধিক দফতরের কাজে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী, দিলেন কড়া দাওয়াই

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- গ্রামীণ রাস্তা যেখানে বড় গাড়ি ঢোকার কথাই নয়, সেখানে চলছে ভারী গাড়ি। আর এরপরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। সোমবার বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বৈঠকে এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতির জন্য পুলিশের একাংশের দিকে আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারি গাড়ির কারণে গ্রামীণ রাস্তা নষ্ট হলে, পুলিশেরও মাইনে কাটার কথা বলেন তিনি।

এদিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জল স্বপ্নের পাইপলাইন পাতার সময় যে রাস্তাগুলি কেটে ফেলা হচ্ছে সেগুলি ঠিকমতো সাড়াই করা হচ্ছে না। যে রাস্তা কাটছে তারপরে সারাচ্ছে না, তার টাকা কাটা হবে।” যে আধিকারিক দায়িত্ব নিয়েছেন, তিনি যদি ঠিক মতো কাজটা না-দিতে পারেন তাঁর উপরও এর খরচ চাপবে বলেও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক এবং ডিএম-বিডিওদেরও সতর্ক করেছেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেন, যে দফতর সেই কাজ করবে না এবং যে আধিকারিক কাজ করবে না, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিন বেহাল রাস্তার কথা বলতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাঙা রাস্তায় জল পড়লে আরও খারাপ হয়। পুলিশকে বারবার বলা হয়েছে কাঁচা শাক-সবজি আর মাছ ছাড়া গ্রামীণ রাস্তায় বড় গাড়ি ঢুকতে দেবেন না। ঢুকলে এর ব্যবস্থা নিতে। এরপরেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পথশ্রী প্রকল্প দিয়ে আমরা রাস্তা করছি ৷ সেই রাস্তা ভেঙে দিচ্ছে কেউ নজর করছেন না? কেন্দ্র এক টাকাও দিচ্ছে না। পুলিশের গাফিলতির জন্য রাস্তা নষ্ট হলে পুলিশের বেতন কাটা হবে। আপনাদের মনে হয় না সরকারের টাকা নষ্ট হচ্ছে। সরকারের টাকা মানে জনগণের টাকা।”
মুখ্যমন্ত্রী এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কোনও রাজনৈতিক নেতার গাড়ি হলেও ছাড়া হবে না। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, কোনও বিভাগের কাজের জন্য রাস্তা ভাঙা হলে, তা সারিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। যা দেখে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, দুই বিভাগের মধ্যে সম্বন্বয় নেই ৷
জলস্বপ্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রত্যেক সোমবার সোমবার বৈঠক করবেন না মুখ্যমন্ত্রী। এই বৈঠকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী, আধিকারিকরা ছাড়াও মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি উপস্থিত থাকবেন। সেই পর্যালোচনা বৈঠকে এদিন মুখমন্ত্রী জল চুরি এবং জলের অপচয় নিয়ে অভিযোগের লম্বা তালিকা তুলে ধরেছেন। একইসঙ্গে কড়া ব্যবস্থার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, “এই সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ এসেছে এমন ২১ হাজারের বেশি জায়গা চিহ্নিত হয়েছে। ১১ হাজারের বেশি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনও কোনও আধিকারিক এই কুকর্মে যুক্ত ছিলেন। ৩৭৩টি সংস্থাকে শো-কজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১১২টি চুক্তি গাফিলতির কারণে বাতিল করা হয়েছে। ২৩ জন আধিকারিককেও শো-কজ করা হয়েছে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*