রোজদিন ডেস্ক:-
আরজি কর কাণ্ডের বিচার সহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকার যতই বলুক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, ডাক্তাররা তা মানতে রাজি নন। এই পরিস্থিতির মধ্যে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক করলেন সিনিয়র ডাক্তার নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে কোনও কথা হল?
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি নারায়ণকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেছিলেন কুণাল। জামদানি পাঞ্জাবি পরে ছবি পোস্ট করে ‘বিবেকের’ কথা বলায় নারায়ণের উদ্দেশে কুণাল বলেছিলেন, ”এদের গ্যাস খেয়ে ওদিকে ওরা অনশনে। এদিকে বিবেকের কোটিং মেরে পোজ দিয়ে ফ্যাশন প্যারেড চলছে। যদি অনশনরতদের প্রতি সত্যি দরদ থাকে, কোনো মানুষ এই পোস্ট করতে পারে না।” সেই দুজনই আজ বৈঠক করলেন! বিষয়টি নিয়ে চর্চা হওয়ারই কথা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কথা হল, তা কেউই খোলসা করতে রাজি নন।
নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কী আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে তিনি বলতে পারবেন না। তাঁর কথায়, ”ব্যক্তি এবং সাংবাদিক কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণ। আমাদের মধ্যে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, আমি বলতে পারব না।”
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়া বা জট কাটার প্রসঙ্গেও কোনও কথা হয়েছে কিনা কুণাল ঘোষের সঙ্গে, তাও জানাননি নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বলেছেন, তিনি ডক্টরস ফোরামের কোনও পদে নেই। তিনি আন্দোলনকারীদের অভিভাবক মাত্র। শুধু চান দ্রুত যে কোনও ভাবে জট কেটে যাক। যারা অনশন করছেন, তাঁদের কোনও রকম ক্ষতি হোক, কেউই চান না। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণালের সঙ্গে তাঁর ‘সংঘাত’ নিয়ে নারায়ণ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বাস্তব, দুটো আলাদা জায়গা। সমাজমাধ্যমে কত লোকে কত কিছু পোস্ট করে। তা নিয়ে তো কেউ কথা বলে না।
তবে আন্দোলনকে ঘুরপথে নিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ উঠছে জোড়াফুল শিবির থেকে সেই অভিযোগ খারিজ করে দেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট কথা, এই জুনিয়র ডাক্তাররা একেক জন জুয়েল। তাঁরা অনেক বেশি পরিণত। সকলের শুধু চিন্তা তাঁদের শরীর নিয়ে। কারও কোনও ক্ষতি হোক, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ুক, কেউই তা চায় না।
কুণাল অপরদিকে বলেছেন, ইতিমধ্যেই সরকার অনেকগুলি পদক্ষেপ করেছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। মুখ্যসচিব স্টেটাস রিপোর্ট দিয়েছেন। যারা অনশন করছেন তাঁদের প্রতি সহানুভূতি আছে। কিন্তু এই অনশন সকলে চাইছে না! কুণালের কথায়, ”মুখ্যমন্ত্রী থেকে সিনিয়র ডাক্তার এবং অভিভাবক, তাঁরা এই অনশন চাইছেন না। তবে রাজনীতির জন্য ছেলেমেয়েগুলিকে ব্যবহার করতে চাইছেন যাঁরা, তাঁরা অনশনের পক্ষে। বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলিকে রাজনীতির কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে।” এমনই মত তাঁর।
Be the first to comment