শুক্রবার নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মনোনয়নের প্রথম প্রস্তাবক হতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী থাকতে পারেন মনোনয়ন পেশের সময়। এছাড়াও বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের জোটসঙ্গী দলগুলিকে মনোনয়ন পেশের সময় হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১৮ জুলাই হবে নির্বাচন। বিরোধীদের সর্বসম্মত প্রার্থী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিং মনোনয়ন জমা দিতে পারেন আগামী ২৭ জুন।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু বৃহস্পতিবারই রাজধানীতে এসে পৌঁছন। সেখানে তিনি দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে। দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানিয়েছে নীতীশ কুমারের জনতা দল (সংযুক্ত), ওডিশার নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল, ওয়াই এস আর কংগ্রেসে জগনমোহন রেড্ডি।
আশা করা হচ্ছে, আগামী ২৫ জুন থেকে দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর প্রচার শুরু করবেন। প্রায় এক মাস ধরে তিনি রাজ্যে রাজ্যে ঘুরে বিধায়কদের কাছে ভোটপ্রার্থনা করবেন। প্রথমেই বিজেপি-শাসিত, নাকি বিরোধীদের রাজ্যে প্রচারে জোর দেবেন সেটাই এখন দেখার। ৫ বছর আগে যখন প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষ হয়, তখনও দ্রৌপদী মুর্মুর নাম উঠেছিল। কারণ তিনি খোদ নরেন্দ্র মোদির বিশেষ পছন্দের প্রার্থী। কিন্তু সে সময় দল রামনাথ কোবিন্দকে চাওয়ায় পিছিয়ে পড়েন দ্রৌপদী।
কেন বিজেপি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করল? কারণ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচন আছে সামনেই। এই চার রাজ্যের ১২৮টি আসন তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। উচ্চবর্ণীয় দল বলে তকমা আঁটা বিজেপি গত ভোটগুলিতে এই ১২৮টির মধ্যে মাত্র ৩৫টি পেয়েছিল। দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে বিজেপি ওই কেন্দ্রগুলিতে শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা করবে।
Be the first to comment