উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরা ও দত্তপুকুর থানার আইসি কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নতুন ওসি হলেন সঞ্জয় বিশ্বাস।জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথমে হিমাদ্রি ডোগরাকে ক্লোজ করা হয়, তারপরে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে দত্তপুকুর থানার আইসি-র ঘাড়েও।
নীলগঞ্জ এলাকায় বহু বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে। এখানে বহু মানুষের রুজিরুটি বাজি তৈরির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।এই এলাকাতেই বেআইনি বাজি তৈরির কারখানা চলার অভিযোগ উঠেছে বারবার। কোথাও বাজি তৈরির আড়ালে বিস্ফোরক তৈরির কাজও চলছিল বলে অভিযোগ। এই এলাকায় কড়া নজরদারির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জেলা পুলিশের তরফে। কোথাও বেআইনি বাজি বা বোমা তৈরি করা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ওই ওসি এবং আইসি সেই নির্দেশ ঠিকমতো পালন করেননি। সেই কারণেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হল।
উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘কোনও কোনও থানার অফিসাররা নিয়ম মানছেন না, কাজ করছেন না’। বারবার সাবধান করা সত্ত্বেও এটা কেন চলছে? বেআইনি বাজি কারখানা আগেই বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছিল। তার পরেও কেন চলছে এই সব কারখানা? দত্তপুকুরের ঘটনা কী করে ঘটল? এই ধরনের প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরা ও থানার আইসি কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসতের দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ এলাকা। একটি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়।ঘটনাস্থলেই ৭ জনের মৃত্যুর খবর আসে। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ হয়েছে।এই ঘটনার পিছনের মূল চক্রীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী থেকে সাধারণ মানুষ।
Be the first to comment