মহিষবাথানে মানিক ঘনিষ্ঠের অফিসে হানা ইডির, তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকলেন অফিসাররা

Spread the love

শনিবার সাত সকালে ইডির তল্লাশি অভিযান। সকাল ৬ টা নাগাদ ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় মহিষবাথানের একটি অফিসের সামনে। জানা গিয়েছে, এই অফিস ঘরটি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্যের এক ঘনিষ্ঠের নামে নেওয়া ছিল। তবে ভাড়া নেওয়া ওই অফিসটির চাবি পাওয়া যায়নি। তাই তালা ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এদিনও দীর্ঘক্ষণ চাবির সন্ধানের পর শেষ পর্যন্ত তালা ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

সূত্রের খবর, এই অফিসে মাঝে মধ্য়েই এসে বসতেন মানিক ভট্টাচার্য। যদিও তিনি কী কারণে আসতেন, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এই অফিস থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ট্রেনিং প্রোগ্রাম চালানো হত। মানিক বাবুর এক ঘনিষ্ঠের নামে এই অফিসটি খোলা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দুই বছর আগে এই অফিসটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।

এদিন সকাল ৮ টা ১০ মিনিট নাগাদ ইডির আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান। ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গে কথা বলার পর, তালা ভাঙার কাজ শুরু করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত অফিস ঘরের শাটারের দু’টি তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা।

বাড়ির মালিক অলোক নন্দী জানিয়েছেন, “ইডি আমার থেকে জানতে চেয়েছে, কে ভাড়া নিয়েছে, কবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। শুধু একতলার ভাড়া ছিল ৪৫ হাজার টাকা। ৩৬ মাসের এগ্রিমেন্ট নেওয়া হয়েছিল।” সূত্রের খবর, যে সংস্থার নামে এই ট্রেনিং সেন্টারটি চলত, সেটি হল মানিক ঘনিষ্ঠের একটি সংস্থা। এই সংস্থার অন্তর্গত একাধিক ডিএলএড কলেজ রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

এবার এই অফিসে হানা দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে আসতে পারে বলেই মনে করছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। সাত সকালে মহিষবাথানে ইডির অভিযানে ওই অফিস ঘরের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন কৌতুহলী মানুষজনও। উল্লেখ্য, ওই অফিসের পাশাপাশি বারাসতে মানিক ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির বাড়িতেও গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*