রমজান মাস শেষে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার খুশির ইদ। আর ইদের সকালেই বৃষ্টিতে ভাসল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ। সাতসকালে জেলায় জেলায় শুরু তুমুল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। দিনভর রাজ্যজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বলেই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
এপ্রিলের একেবারে শেষভাগ থেকেই বদলাতে শুরু করেছে আবহাওয়া। খানিকটা হলেও রেহাই মিলেছিল তীব্র দাবদাহ থেকে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে পূর্বাভাস ছিল, ২ মে থেকে কমবে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। পূর্বাভাস সত্যি করে মঙ্গলবার ভোর থেকেই মুখভার আকাশের। খানিকটা বেলা হতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু জেলায় জেলায়। সঙ্গে রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। রাজ্যজুড়ে কালবৈশাখীর সর্তকতা জারি। তবে আগামিকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি কমবে উত্তরবঙ্গে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা থানিকটা কম থাকবে। কমবে আদ্রর্তাজনিত অস্বস্তি।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি সকাল থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রেড রোডে ইদ উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগদেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে যোগ দেন বহু মানুষ, নামাজ পড়েন। তবে টানা বৃষ্টির জেরে ইদের আনন্দ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এদিকে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত এবং সিকিমেও। বুধবার অরুণাচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরায়।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আন্দামান সাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরির অনুকূল পরিবেশ। বৃহস্পতিবার রাতে অথবা শুক্রবারের মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা। আন্দামান সাগর এরপর দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসতে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়। আপাতত অভিমুখ বাংলা বা উড়িষ্যা উপকূলের দিকে হতে পারে এমনই সম্ভাবনা।
Be the first to comment