উত্তর কলকাতা বলতে আমরা বুঝি বনেদিয়ানা, ঐতিহ্য। এই সাবেক উত্তর কলকাতার ছোট ছোট বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে সেখানকার ভোটারদের উৎসাহিত করতে উদ্যোগী হলেন কলকাতা উত্তরের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক। কলকাতা উত্তরে ভোটদান তুলনামূলকভাবে কম হয়। তাই ভোটারদের উৎসাহিত করার জন্য জেলা নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকার অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করছেন। এক ডজন গপ্পো- উত্তর কলকাতারই একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি সত্যজিৎ রায়ের ১২টি গল্পের সংকলনের নাম এক ডজন গপ্পো। দিব্যেন্দুবাবু খুব সুপ্রযুক্তভাবে সেই নামটিকে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু কী হবে এই এক ডজন গপ্পোতে? কলেজস্টীট বইবাজার, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, ডেকার্স লেনের লোভনীয় খাবার অথবা গোলবাড়ির কষা মাংস; উত্তরের এই ঐতিহ্যগুলিকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ১ মিনিটের শর্ট ফিল্ম। রকে বসে টেনিদা, ক্যাবলা, প্যালা আড্ডা দিতে দিতে বলবে আজ আড্ডা এখানে থাক। চলো আমরা ভোটটা দি।
ভোরের কলকাতা, বাগবাজারের গঙ্গাপাড়ের মানুষজন স্নান সেরে বলবেন এবার যাই ভোট দিয়ে আসি। হাতে টানা গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি- পুরানো উত্তর কলকাতা ভেসে উঠবে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফিল্মগুলির মধ্যে দিয়ে। তবে তার মোদ্দা কথা একটাই সকলে মিলে যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ১৫৩টি ভোটকেন্দ্রে মহিলারাই সবকিছুর দায়িত্ব সামলাবেন। তাই তাঁদের নিয়ে এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষজনদের নিয়েও তৈরি হবে এই শর্ট ফিল্ম।
ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষনের জন্য দিব্যেন্দুবাবুরা বিশেষ প্রশিক্ষনের বন্দোবস্ত করেছেন। Pollstar নামে একটি পোর্টালের মাধ্যমে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আরেকটি অভিনব বিষয় হলো উত্তর কলকাতার মতিলাল শীল ফ্রি কলেজে ১৪টি পোলিং স্টেশন তৈরি হচ্ছে।
Be the first to comment