দু-একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া, মোটের উপর শান্তিপূর্ণ কলকাতা পুরভোট। তাই পুনর্নির্বাচনের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। বিরোধীদের দাবি খারিজ করে জানালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিকে, পুনর্নির্বাচনের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি ও সিপিএম। প্রধান বিচারপতি মামলা গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে না বলে প্রথম থেকেই দাবি করেছিল রাজ্য বিজেপি। সে কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল তারা। এই আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। প্রথম সিঙ্গেল এবং পরে ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তাই পুলিশের নজরদারিতেই রবিবার কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ পর্ব মেটে।
তবে বিরোধী বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের দাবি ভোট শান্তিপূর্ণ মোটেও হয়নি। এই অভিযোগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজভবনের দ্বারস্থ হয় বঙ্গ বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনাতেও সামিল হয় বিজেপি নেতৃত্ব। একাধিক টুইটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।
তবে বিরোধীদের দাবি খারিজ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রবিবারই কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় পুলিশ যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে। তেমন অশান্তি কোনও জায়গায় হয়নি। তাই কোনও বুথে পুনর্নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা নেই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পর্যবেক্ষক এবং প্রিসাইডিং অফিসারদের পাঠানো রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে।
পুনর্নির্বাচনের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ সিপিএম ও বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দু’টি মামলা মঞ্জুর করেছেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মামলার শুনানি। উল্লেখ্য, ওইদিনই কলকাতা হাই কোর্টে পুরভোট মামলার শুনানি হওয়ার কথা। পুলিশের নজরদারিতে কলকাতা পুরভোট আদৌ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে কিনা, সে সংক্রান্ত রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দেওয়ার কথা রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।
Be the first to comment