সব রাজ্যই চায় নির্বাচনে একশো শতাংশ ভোটদান নিশ্চিত করতে। সে জন্য়ই নির্বাচন কমিশনের তরফে চলে ভোট প্রচার, নানা রকম উপায়ে। তেমনই এক অভিনব উপায় চালু হয়েছে তেলেঙ্গানায়।
সামনেই আসছে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু এই এলাকার মানুষেরা ভোট দিতে যাবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ। তাই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে টানতে এক অভিনব কৌশল হাতে নিয়েছে তেলেঙ্গানার নির্বাচন কমিশন। ‘ভোট দিন, বাইক জিতুন। পেতে পারেন স্কুটি বা স্মার্ট ফোনও!’ —এমন স্লোগান প্রচার করেই ছাড়া হয়েছে নানা রকম আকর্ষণীয় উপহার!
তবে এই উপহার পাওয়ার জন্য কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে না। ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কেবলমাত্র ভোটটুকু দিলেই হবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিলেই খুশি নির্বাচন কমিশন। আর সেই খুশিতেই বিলোবে নানা রকম পুরস্কার।
এই নয়া কৌশল নিয়েছে তেলেঙ্গানার সিদ্দিপেট জেলার নির্বাচন কমিশন। জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথের সব ভোটারই এই সুযোগ পাবেন। সুযোগ পাবেন লটারিতে অংশগ্রহণ করার। ভোটদাতাদের নিয়ে একটি লটারি করে বিজয়ীদের এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ভোটের দিন বুথের বাইরে কুপন রাখা থাকবে। ভোট দিয়ে বেরোনোর সময়ে একটি করে কুপন দেওয়া হবে। কুপনের একটি অংশ কেটে জমা রাখা হবে। ভোট শেষ হলে লাকি ড্র করা হবে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য থাকবে আলাদা কুপন। পুরুষদের মধ্যে এক জন বিজয়ী পাবেন একটি মোটরসাইকেল। মহিলাদের মধ্যে এক জন পাবেন একটি স্কুটি। এ ছাড়াও দুই গ্রুপেই পাঁচ জন করে পাবেন একটি করে স্মার্ট ফোন।
কিন্তু সিদ্দিপেটের ভোটারের সংখ্যা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে এত উদ্যোগী কেন তেলেঙ্গানা সরকার? মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও শুধু নন, তাঁর ভাইপো কুমার হরিশ রাও-ও লড়ছেন এই কেন্দ্র থেকেই। তিনি প্রাক্তন সেচমন্ত্রীও বটে। এই কারণেই এত বেশি জোর পাচ্ছে এই কেন্দ্র।
Be the first to comment