পশ্চিমবঙ্গে দ্রুত উপনির্বাচন করার দাবিতে আজ, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস ৷ নয়াদিল্লিতে আজ তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন ৷ সেই দলে লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় এবং রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ও থাকছেন বলে খবর ৷
তৃণমূল সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের যে সাতটি বিধানসভা আসন বিধায়কহীন হয়ে পড়ে রয়েছে, সেখানে দ্রুত উপনির্বাচনের দাবি জানানো হবে ৷ তার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় সাতদিন প্রচারের সময় দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হবে ৷ প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে সাতটি বিধানসভা আসন এখন বিধায়কহীন ৷ কিন্তু সব আসন ছেড়ে উপ-নির্বাচনে যে বিশেষ আসনের দিকে সবাই তাকিয়ে, তা হল কলকাতার ভবানীপুর ৷ কারণ, ওই আসনে জিতেও পদত্যাগ করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷ আর নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসনে প্রার্থী হতে চলেছেন কারণ, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ছ’মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে তাঁকে ৷
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, সেই কারণে উপনির্বাচন দ্রুত করানোর বিষয়ে আগ্রহী তৃণমূল কংগ্রেস ৷ না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে ৷ দলের অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে ৷ তাতে হয়তো সরকারের উপর থেকে মমতার নিয়ন্ত্রণ সরে যাবে না ৷ তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলবে সরকার ৷
কিন্তু এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে, তা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য রাজনৈতিক ক্ষতি কারণ, বিজেপি গোড়া থেকেই মমতাকে হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কটাক্ষ করছে ৷ তাই তাদের এই প্রচার আরও বৃদ্ধি পাবে ৷ তাই বিজেপিও চাইবে যে কোনওভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া ৷ বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে কমিশনকে এই নিয়ে তারা চাপে ফেলতেই পারে ৷ তার উপর করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয়, এই যুক্তি দেখিয়ে বিজেপি উত্তরাখণ্ডে তাদের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াতকে সরিয়ে দিয়েছে কারণ, তিরথ বিধায়ক ছিলেন না ৷ আর তাঁকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে জিতে আসতে হত উপ নির্বাচনে ৷
এই ধরনের কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই তৃণমূল উদ্য়োগী বলে মত রাজনৈতিক মহলের ৷
Be the first to comment