ফের জ্বলে উঠলেন হ্যারি কেন ৷ ইউরোর ফাইনালে গেল ইংল্যান্ড ৷ অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোল করলেন ইংরেজ অধিনায়ক ৷ ডেনমার্ককে স্টার্লিংদের কাছে হারতে হল ২-১ ব্যবধানে ৷ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড ৷ খেলার ৩০ মিনিটে গোল করে ডেনমার্ক ৷ লুক শ ডেনমার্কের আন্দ্রেস ক্রিসটেনকে মাঠে ফেলে দিলে রেফারি ফ্রিকিক দেন ৷ দুরন্ত শটে গোল করেন মাইকেল ড্যামসগার্ড ৷ বলে হাত ছুঁইয়েও গোল বাঁচাতে পারেননি ইংরেজ গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ড ৷
যদিও ৯ মিনিটে গোল শোধ হয়ে যায় ৷ আত্মঘাতী গোল খায় ডেনমার্ক ৷ আত্মঘাতী গোল হলেও তার পেছনে কেনের ভূমিকা রয়েছে ৷ বুকায়ো সাকাকে দুরন্ত বল বাড়ান কেন ৷ এর পর সাকা হয়ে স্টার্লিংয়ের পায়ে বল পৌঁছানোর আগেই ভুল করে নিজেদের গোল বল ঢুকিয়ে দেন ডেনমার্কের সেন্টার ফরোয়ার্ড সাইমন কায়ের ৷
এর পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করে ইংল্যান্ড ৷ অন্যদিকে ইংরেজ বাহিনীর একাধিক আক্রমণ রুখে দেন ড্যানিশ গোলকিপার ক্যাসপার স্কিমিচেল ৷ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও স্কোরবোর্ডে পার্থক্য হতে দেননি ডেনমার্কের গোলকিপার ৷ অপরপক্ষে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি ডেনমার্ক ৷ নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ফলাফল ছিল ১-১। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
ম্যাচের ১০২ মিনিটে নিজেদের বক্সে স্টার্লিংকে ফাউল করে বসেন মাহলে। রেফারি ভিআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন ইংল্যান্ডকে। ১০৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন হ্যারি কেন ৷ যদিও কেনের শট প্রথম দফায় বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন ড্যানিশ গোলরক্ষক ৷ কিন্তু ফিরতে বল গোলে ঢুকিয়ে দেন ইংরেজ অধিনায়ক। ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। রবিবার তারা ঐতিহাসিক ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইতালির সঙ্গে ৷
১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর গত ৫৫ বছর কোনও বড় টুর্নামেন্ট জেতেনি ইংল্যান্ড ৷ এই ইতিহাস বদলানোর পথে আর এক কদম দূরে হ্যারি কেনরা ৷
Be the first to comment