২০১৬ থেকে কৃষক আত্মহত্যার কোনও তথ্য নেই কেন্দ্রের কাছে

Spread the love

২০১৬ সাল থেকে কত কৃষক আত্মহত্যা করেছেন? এমন কোনও তথ্য নেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সংসদে বিষয়টি স্বীকার করে নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাধামোহন সিং। তিনি জানান, প্রতিবছর কৃষকের মৃত্যু সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। ২০১৫ সালের পর থেকে আর এই ধরনের কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর প্রশ্নের জবাবে লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী এই তথ্য জানান। কিছুদিন আগেই লাখো কৃষকের পদ যাত্রায় কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। কৃষি ঋণ মকুবকে সম্বল করেই নির্বাচনে সাফল্যের মুখ দেখেছে কংগ্রেস।

রাহুল গান্ধি সম্প্রতি হুমকি দিয়ে রেখেছেন, কৃষি ঋণ মকুব না হলে প্রধানমন্ত্রীকে ঘুমোতে দেবেন না তিনি। সেই পরিস্থিতিতে নতুন এই তথ্য যে বিজেপি সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য। তৃণমূল সাংসদ জানতে চান, ২০১৬ সালের পর থেকে ঠিক কত জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন? ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের পুনর্বাসনে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছ? উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ২১০৬ সালের তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। ২০১৫ সাল পর্যন্ত যেসব কৃষক আত্মহত্যা করেছেন, ওয়েবসাইটে সেসব তথ্য দেওয়া রয়েছে। তারপর আরও কোনও তথ্য প্রকাশ হয়নি। তাই কৃষক আত্মহত্যা নিয়েও কৃষি মন্ত্রকের কিছু বলা সম্ভব নয়। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যগুলির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রকাশ করে ক্রাইম ব্যুরো।

যদিও বিরোধীদের দাবি, ২০১৫ সালের পর থেকেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক অসন্তোষ চরমে উঠেছে। গতবছরই কৃষকদের দুরবস্থার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ৫ কৃষকের। এবছর, মুম্বই ও পরে দিল্লি, হাজার হাজার কৃষকদের লংমার্চ প্রভৃতি অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপি সরকারকে। সেসব চাপা দিতেই, কৃষক মৃত্যু নিয়ে তথ্য প্রকাশ করছে না কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বলছে, দেশজুড়ে আত্মহত্যা করেছে প্রায় ৮০০০ জন কৃষক। আত্মহত্যার ঘটনায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ৩০৩০টি কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে সেখানে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তেলেঙ্গানা (১৩৫৮টি)। তৃতীয় স্থানে কর্ণাটক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*