ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা না পেলে আন্দোলন উঠবে না। রবিবার বৈঠক শেষে সিংঘু সীমান্ত থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন কৃষক সংগঠনগুলি। পাশাপাশি সংসদে কৃষি আইন প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়ে কৃষকরা। এই নিয়ে আগামী ২৭ নভেম্বর কৃষকরা পুনরায় একটি বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়েছে এদিন। এ প্রসঙ্গে, কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত সংসদে নিহত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে এবং কৃষকদের বিরুদ্ধে করা সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলনও প্রত্যাহার করা হবে না।’
রবিবার সিংঘু সীমানায় বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা। বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, ‘আমরা এই আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি লিখব। যেখানে আমাদের বাদবাকি দাবিগুলির কথা উল্লেখ করা থাকবে। ন্যূন্যতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের জন্য নির্দিষ্ট কমিটি, এর নিশ্চয়তা, সহায়ক মূল্যের কার্যকর হওয়ার সময়কাল জানানোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও ২০২০ সালের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মকুবের বিষয়টিও দাবি রাখা হবে।’ পাশাপাশি, লখিমপুর খেরির ঘটনার পর মন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বহিষ্কার করার দাবিও তুলেছেন কৃষকরা।
তবে এর পরও সমস্ত পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি একইরকমভাবেই বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। সিংঘু বর্ডারের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২২ নভেম্বর লখনউতে কৃষক মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও আগামী ২৬ নভেম্বর সমস্ত সীমানায় প্রতিবাদ মিছিল হবে। ২৯ নভেম্বরও সংসদ ভবন অভিযান কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হচ্ছে বলে জানান কৃষক নেতারা।
এই আইন প্রত্যাহারের পরই কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছিলেন, ‘আন্দোলন তখনই শেষ হবে যখন সংসদে এই আইন খারিজ হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘MSP নিয়ে সরকারের উচিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনও অনেক সমস্যার সমাধান হয়নি। এরমধ্যে অন্যতম ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য।
Be the first to comment