রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ভাই অগ্রসেন গেহলটের বিরুদ্ধে তল্লাশি সিবিআইয়ের। সার কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তাঁর। সার সরবরাহের নামে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যোধপুর সহ বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্ত করছেে ইডি। কিন্তু আচমকাই তাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সাত কোটি টাকার অন্তঃশুল্ক ফাঁকির মামলা ঝুলছে। এই মামলার তদন্তে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তাতে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর নাম জড়িয়েছে। কলকাতার ব্যবসায়ী প্রদীপকুমার শরাফ এই ঘটনায় জড়িত। তাঁর কোম্পানি “শরাফ ইম্প্যাক্স প্রাইভেট লিমিটেড”। ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই আর্থিক তছরুপ চলেছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
বেআইনি ভাবে রাসায়নিক সার বিদেশে রফতানি করার অভিযোগেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ভর্তুকিতে প্রাপ্ত রাসায়নিক সার বিদেশে রফতানি করতেন অগ্রসেন গেহলট। যা পুরোপুরি আইনবিরুদ্ধ ছিল।
এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব ভার নিয়েছিল এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ২০২১ সালের মে মাসের পর সেই তদন্ত ভার যায় সিবিআই-এর হাতে। তারপরে সিবিআই এর পক্ষ থেকে আজ কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জায়গা এই সার্চ অপারেশন চালানো হচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে সল্টলেক জিসি ব্লকের প্রদীপ শরাফ -এর বাড়ি। সেখানেও আজ তল্লাশি চালায় সিবিআই কর্তারা। প্রায় চার ঘণ্টা পর সল্টলেক জি সি ব্লকের ৮৪ নম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ এর ডিসেম্বরে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন আছে। তার আগে এই নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে মরুরাজ্যে। কংগ্রেসের দাবি, জনগণের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমন চক্রান্ত করছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের দলে টানার জন্য ইডি, সিবিআইকে লেলিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এ ভাবে ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বিজেপি গণতন্ত্রকে অপহরণ করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন সুরজেওয়ালা।
কয়েকদিন ধরে রাহুল গান্ধীকে ইডির জেরা নিয়ে রাজধানীতে যে তীব্র আন্দোলন চালাচ্ছে কংগ্রেস। তারও নেতৃত্বে দেখা গিয়েছে অশোক গেহলটকে। বিজেপির বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সামনে মুখর হয়েছেন তিনি। এমনকি বয়সের তোয়াক্কা না করে দিল্লির গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থেকেছেন গেহলট। ফলে ঠিক এই মুহূর্তে তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
Be the first to comment