করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপির এই ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ সারা দেশ প্রত্যক্ষ করলঃ ফিরহাদ হাকিম

Spread the love

নারদ মামলায় জামিন মঞ্জুর হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্টে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার ভোটে হেরে গিয়ে মানুষের ওপর প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। তিনি টুইটারে লেখেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপির এই ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ আজ সারা দেশ প্রত্যক্ষ করল।

সোমবার সকালে বাড়ি থেকে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর এদিনই অবশ্য ব্যাঙ্কশাল কোর্ট তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হয়। আর জামিন পাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য রাখেন ফিরহাদ হাকিম।

নারদ মামলা নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের দাবি, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২০১৪ সালে একটি স্টিং অপারেশনের ‘নাটক’ হয়। যার প্রমাণ এখনও হয়নি। শুধুমাত্র তাঁদের হেনস্থা করার জন্য আবার এই মামলাকে সামনে আনা হয়েছে। আর এটা বিজেপির প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

তিনি টুইটে আরও লেখেন, “আজ আমাকে ও আমার সতীর্থদের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হল। বিজেপির প্রতিহিংসা আসলে বাংলার মানুষের প্রতি। বাংলার মানুষ যেভাবে বিপুল ভোটে তৃণমূলকে জিতিয়েছেন, তা মেনে নিতে না পেরেই এই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। কোভিড সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ করে বাংলা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। বাংলা তথা সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর থেকেও তাদের কাছে ক্ষমতা দখলই উদ্দেশ্য।”

তবে এখানেই থামেননি ফিরহাদ। পিএম কেয়ার্স নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর সংযোজন, “পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন জিততে কয়েক কোটি টাকা ঢেলে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। পিএমকেয়ার্স ফান্ডের হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই মানুষের। তথ্য জানার এক্তিয়ার নেই। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়তে পিএম কেয়ার্স থেকে কী খরচ করা হয়েছে বা হয়েছে কি না, সেটা জানারও কোনও উপায় নেই।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*