নারদ মামলায় গৃহবন্দি থাকার রায় মিলেছে চার হেভিওয়েটের। সেই মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরলেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। আপাতত বাড়ি থেকেই নিজস্ব দফতরের কাজ করবেন ‘গৃহবন্দি’ ফিরহাদ। বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি করতে পারবেন প্রশাসনিক কাজকর্ম। তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বাড়ির দরজায় অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর তিন কন্যা ও নাতনি। এদিকে, বাকি তিন নেতা এখনও SSKM হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন সন্ধ্যায় মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে সোমবার সকাল ১১টায় হাইকোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চের শুনানি হবে। এই বৃহত্তর ডিভিশন বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি সৌমেন সেন, ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, হরিশ টন্ডন এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই থেকেই গৃহবন্দি দশা শুরু হচ্ছে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। শুক্রবারই ফিরহাদের জামিনের আবেদনের শুনানি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। CBI যাতে এই মামলায় একতরফা শুনানি করাতে না পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই ক্যাভিয়েট বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত কোনও দলীয় নেতা-কর্মী কিংবা সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেও দেখা করতে পারবেন না ফিরহাদ। সব কাজই করতে হবে অনলাইনে। আলোচনা করতে হবে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে। সেই ভিডিয়ো কনফারেন্সেরও বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত করে জানাতে হবে CBI-কে।
জামিনের মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে বাকি তিন রাজনীতিবিদকেও গৃহবন্দি থাকতে হবে। চার নেতার বাড়ির বাইরে বসানো হবে CCTV ক্যামেরা। বাড়িতে আসা অতিথিদের তালিকাতেও নজর রাখবে CBI। এমনটাই জানা গিয়েছে আদালত সূত্রে।
Be the first to comment