দুর্নীতি কাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া তৃণমূল। সিউড়ির মঞ্চে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, দুর্নীতি করলে দায় তাঁর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অমিত শাহের কর্মসূচির পরই তৃণমূলের তরফে পাল্টা সভা করা হয়। বীরভূমের কর্মসূচির দায়িত্বে ছিলেন ফিরহাদ। সিউড়িতে সভামঞ্চে ফিরহাদ বললেন,”আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক।” বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে যখন ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে খানাতল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই, নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, তখন আরও একবার মমতা-র সৎ ভাবমূর্তিকেই জনসমক্ষে শান দিলেন ফিরহাদ। এর আগে একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কের নাম জড়িয়েছে। তাতে নবতম সংযোজন জীবনকৃষ্ণ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি গোটা বাংলাকে শীর্ষ নেতৃত্ব অস্বস্তি কাটিয়ে এটাই বার্তা দিতে চাইছেন, দলের সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আজও অক্ষুণ্ণ। ফিরহাদ বলেন, “আমাদের বারবার করে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হয়, আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত? যেখানে আজও টালির চালে আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন, যেখানে আজও রাজ্য কোষাগার থেকে চা খাওয়ার টাকা নেননি, যে ক’জন মুখ্যমন্ত্রী ভারতে আছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কম সম্পত্তি যাঁর রয়েছে, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে সাধারণভাবে থাকা যায়, তার উদাহরণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সততার প্রতীক’ ,’দেবতা’র সঙ্গে তুলনা করেছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়রা। কিন্তু সাম্প্রতিকতম কয়েকটি ইস্যুতে ফিরহাদের বক্তব্যে দলে তাঁর অবস্থা নিয়ে যে হাজারও জল্পনা তৈরি হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ফিরহাদের এহেন বক্তব্য যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, দুর্নীতিতে দলের নেতা মন্ত্রীর নাম জড়ানোয় নীচু স্তরের কর্মীদের মধ্যেও একটি বিরূপ মনোভাব তৈরি হতে পারে, এটা ভালই আঁচ করতে পারছেন শীর্ষ নেতৃত্বও। নীচু স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যাতে গ্রামের মানুষের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়, তারও দাওয়াই দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “আজও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেকটি কর্মীকে বলতে হবে, সততার প্রতীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
Be the first to comment