উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু হল পাঁচ বাঙালি পর্যটকের। এর মধ্যে রয়েছেন গড়িয়ার একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী এবং পুত্র। মৃতরা হলেন মদনমোহন ভুঁইয়া, ঝুমুর ভুঁইয়া এবং নীলেশ ভুঁইয়া। কেদার তাল বেড়াতে যাওয়ার পর তাঁদের গাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যায় বলে খবর। গাড়িটিতে সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। এরপর সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গড়িয়ার ভুঁইয়া পরিবারে।
জানা গিয়েছে, মদন ভুঁইয়া একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। স্ত্রী ঝুমুরও নিউ ব্যারাকপুর কলেজের লাইব্রেরিয়ান। ছেলে নীলেশ রায়বেরিলিতে অ্যাভিয়েশন নিয়ে পড়াশোনা করত। এদিকে, গড়িয়ার এই পরিবারের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে মোট পাঁচ জনের। যার মধ্যে একজন গাড়ির চালক রয়েছেন। এছাড়াও নৈহাটি দেবমাল্য দেবনাথ এবং ব্যারাকপুরের প্রদীপ দাসও ওই গাড়িতেই ছিলেন। তাঁদেরও এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। যদিও অগ্নিদগ্ধ হওয়ার জেরে এখনও পর্যন্ত সকলের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও ওই গাড়ির ড্রাইভারেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে ড্রাইভারের নাম আশিস প্রেম, তিনি উত্তর কাশীর বাসিন্দা।
জানা যাচ্ছে, গত সোমবার তাঁরা উত্তর কাশীতে পৌঁছন। এরপরে কেদারতাল যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আর সেই মতো গাড়ি নিয়ে তাঁরা রওনাও হয়েছিলেন। কিন্তু সেই গাড়ির মধ্যে সিলিন্ডার রাখা ছিল। পাহাড়ি পথে চলতে চলতে আচমকাই ফেটে যায় সেই সিলিন্ডার। আগুন ধরে যায় গাড়িতে। এরপরই জ্বলন্ত অবস্থায় গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। ফলে গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। এই খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গড়িয়া এবং নৈহাটি এলাকায়।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালেই ওডিশার গঞ্জাম জেলায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পর্যটকদের বাস। এই দুর্ঘটনায় চার মহিলা সহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ জন। মৃতদের সবাই হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের নাম সুপ্রিয়া দেঁড়ে (৩৩), সঞ্জিত পাত্র (৩৪), রীমা দেঁড়ে (২২), মৌসুমী দেঁড়ে (৪০), বর্ণালী মান্না (৩৪) ও এক রাঁধুনি। তাঁর পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে উদয়নারায়ণপুর থেকে একটি বাসে করে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজ্যাকে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ভোর রাতে বাসটি ওডিশার ব্রহ্মপুর বা বেরহামপুরর কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। এই ঘটনায় টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment