আশঙ্কা সত্যি করে ৫০ ঘণ্টা পর গেঞ্জি কারখানা থেকে থেকে উদ্ধার চার দেহ

Spread the love

আশঙ্কাই অবশেষে সত্যি হল! ঘোলার গেঞ্জি কারখানা থেকে উদ্ধার হল চার যুবকের দেহ। প্রায় তিন দিনের মাথায় তাঁদের দেহগুলি উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এলাকা ঘিরে রেখেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। রয়েছেন দমকল আধিকারিকরাও। মৃতের পরিজনদের খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহগুলি শনাক্ত করে।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে নিউ ব্যারাকপুরের এই গেঞ্জি কারখানায় আগুন লাগে। এলাকায় একটি তিনতলা বাড়ির ভিতরে গেঞ্জি কারখানাটি চলে। বাড়ির নিচে রয়েছে ওষুধের গুদাম ও রঙের কারখানা। এদিন প্রথমে গেঞ্জি কারখানায় আগুন লাগলেও মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে নিচের তলাতেও। পরিস্থিতি এমন হয়, শুধুমাত্র দমকলের ইঞ্জিন দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। এরপরই রোবট মেশিন এনে আগুন বাগে আনার কাজ শুরু হয়। তবু শনিবার সকাল পর্যন্ত আগুনের ফুলকি দেখা যায়।

এরইমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পূর্ত দফতরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের একটি দল। ড্রোন উড়িয়ে বাড়িটির ভিতরের পরিস্থিতি দেখার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরই দেখা যায়, বাড়িটির তিন তলা থেকে ছাদে ওঠার সিঁড়ির মাঝে চারজনের দেহ পড়ে রয়েছে। অনুমান, আগুন লাগার পর প্রাণে বাঁচতে ছাদের উঠতে চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার যুবক ঘটনার দিন রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে ভিতরেই শুয়েছিলেন। কারখানার এক পাশে প্রচুর গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা ছিল। ভোরের দিকে গ্যাস সিলিন্ডার কোনওভাবে ফাটতে শুরু করে। তা থেকেই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান। এরপর থেকেই চারজন নিখোঁজ ছিলেন।
মৃতদের নাম স্বরূপ ঘোষ (৪২), সুব্রত ঘোষ(৩৫), অমিত সেন (৩২), তন্ময় ঘোষ (২৩)। এঁরা প্রত্যেকেই নদিয়ার বাসিন্দা। মৃতদেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। টানা ৫০ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয় এদিন।
পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে FIR করা হয়েছে। তার খোজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*