গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান সারার পরই বিপর্যয়, ভোররাতে ২০০ পুণ্যার্থীর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

Spread the love

মকরসংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান সেরে ফিরছিলেন২০০ জন পুন্যার্থী। জলপথেই বিপর্যয়। গঙ্গাসাগর ফেরত পুণ্যার্থীরা সাগরের কচুবেড়িয়া থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর আটের ঘাটে যাচ্ছিল। ভোর আড়াইটে নাগাদ কচুবেড়িয়াতে আসার পথে মুড়িগঙ্গা নদীর চরে আটকে যায়। দীর্ঘক্ষণ চরেই আটকে থাকেন তাঁরা। কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পুণ্যার্থীরা। একে হিমশীতল হাওয়া সঙ্গে কুয়াশার দাপট, অনেকে ঠান্ডার মধ্যে অসুস্থ বোধ করতে থাকেন।

এই পরিস্থিতিতে খবর যায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। পরে উপকূল রক্ষী বাহিনীর হোভাক্রাফ্ট ও স্পিড বোর্ডও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যাত্রীদের উদ্ধার করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।

প্রশাসন সূত্রের খবর, কুয়াশার জেরে দিকভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া পুণ্যার্থীদের ভেসেলটি মুড়িগঙ্গা নদীতে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। এরপর ভাটা চলে আসায় চরে আটকে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মেলার আগে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাঁচ ধরনের ফগ লাইটের ব্যবহার করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে তা কী কাজে আসল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল।

কুয়াশার পাশাপাশি ভাটার জন্য মঙ্গলবার ভোর থেকে মুড়িগঙ্গা নদীতে কাকদ্বীপের লট নম্বর আট থেকে সাগরের কচুবেড়িয়ার মধ্যে ভেসেল চলাচল ব্যহত হয়ে পড়েছে। কুয়াশা কাটলে ভেসেল চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ভেসেল থেকে দুশোর বেশি পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপের লট নম্বর আটের ঘাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এক পুন্যার্থী বলেন, “প্রথমে বেশ কিছু ভেসেলটি দাঁড়িয়ে ছিল। অনেকেই কিছুটা ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। তাই প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পরে বুঝতে পারি ভেসেল দিকভ্রষ্ট হয়েছে। আর চরে আটকে গিয়েছে। ঠান্ডায় বেশ কয়েক ঘণ্টা ওইভাবেই থাকতে হয়।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*