ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললো ভারতীয় জনতা পার্টি ৷ এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট ৷ শুক্রবার বিজেপির তরফে গৌরব ভাটিয়া সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবিধানিক ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস করেন না ৷
গত ২ মে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ৷ ডাবল সেঞ্চুরি করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু ২ মে-র রাত থেকেই রাজ্য জুড়ে শাসক দলের হাতে বিরোধী নেতা-কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বিজেপির অভিযোগ ৷ যদিও তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার জানিয়েছেন যে ভোটের পর কোনও রাজনৈতিক হিংসা হয়নি ৷
ফলে জল গড়ায় আদালতে ৷ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ বৃহস্পতিবার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টে ৷ সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় তোলা হয় ৷ এমনকি, বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর নামের আগে ‘দুষ্কৃতী’ শব্দটি বসানো হয় ৷
তাই এই নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে হইচই চলছে রাজ্য রাজনীতিতে ৷ বিজেপি তোপ দেগেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তরফেও পালটা অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ আর এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়টিকে একেবারে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এনে ফেলল গেরুয়া শিবির ৷
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বসে সাংবাদিক বৈঠক করেন গৌরব ভাটিয়া ৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে এনে সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ তাঁর অভিযোগ, এমন একটি সরকার ও এমন একজন নেত্রী জনতাকে সুবিচার কীভাবে পাইয়ে দেবেন ? মমতা হয়তো বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে ঘৃণা করেন, জয় শ্রীরাম শুনতে ভাল লাগে না তাঁর ৷ কিন্তু সংবিধানের নামে শপথ নিয়েছেন ৷ সেটা তো মনে রাখা উচিত ৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের সকল নাগরিকের প্রতি আপনি দায়বদ্ধ ৷ তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন, তা বিচার্য হওয়া উচিত নয় ৷
তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিজেপিরে বিরোধী দলের দায়িত্ব দিয়েছে ৷ সেই দায়িত্ব পালন করে যাবে বিজেপি ৷ তাতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি হলে, তাঁদের সঠিক পদক্ষেপ করা উচিত ৷
Be the first to comment