জিটিএ-র ভোট ২৬ জুনই হবে। কিন্তু মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভোটের ফল প্রকাশ করা যাবে না। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। জিটিএ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা করে জিএনএলএফ।
এদিন তাদের আইনজীবী সুদীপ সানতাল বলেন, ১৯৮৮ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ বা ডিজিএইচসি গঠন করা হয়েছিল। সেই অনুসারে ডিজিএইচসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন না করেই রাজ্য সরকার ডিজিএইচসি ভেঙে গোর্খা টেরিটোরিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএতৈরি করেছে। তাই এর কোনও সাংবিধানিক বৈধতা নেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক দিন ধরেই বলে আসছিলেন, জিটিএ নির্বাচন করতে হবে। অবশেষে ২৬ জুন ওই নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জিটিএ নির্বাচন বাতিলের দাবি করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও। এই দাবিতে মাসখানেক আগে মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং সিংমারিতে দলের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন। পাঁচদিন পর অবশ্য অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি অনশন তুলে নেন। আগে তিনি জানিয়েছিলেন, মোর্চা ভোটে অংশ নেবে না। পরে বিমল জানান, তাঁরা নির্দল হিসেবে লড়াই করবেন।
Be the first to comment