প্রত্যাশামতোই জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হতে পারে জিটিএ নির্বাচন। আর জিটিএ নির্বাচন পরিচালনার জন্য দার্জিলিঙের জেলাশাসক তথা জিটিএ’র মুখ্যসচিব এস পুন্নমবলমকে জিটিএ’র নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগ করা হয়েছে পাশাপাশি জলপাইগুড়ি ডিভিশনের ডিভিশনাল কমিশনার অজিত রঞ্জন বর্ধনকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও হিল অ্যাফেয়ার্স দফতরের তরফে জেলাশাসক এস পুন্নমবলমকে নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠায় নবান্ন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সেই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেন। এরপরই জিটিএ নির্বাচন নিয়ে একপ্রকার প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের জনগণনা অনুযায়ী জিটিএ এলাকায় নাগরিকের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৭৮ হাজার ২ জন। তবে বিধানসভা ও দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচনের আগে নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। যার ফলে ভোটার সংখ্যা বেড়ে প্রায় দশ লক্ষ পেরিয়েছে। জিটিএ’র অধীন ৪৫টি সংসদ রয়েছে। প্রায় ১১ বছর ধরে বন্ধ ছিল জিটিএ নির্বাচন। এতদিন কখনও রাজ্য সরকার মনোনীত রাজনৈতিক দলের নেতা যেমন বিনয় তামাং, অনিত থাপারা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ৷ আবার কখনও জেলাশাসক বা জিটিএ’র সচিবকে দেওয়া হয়েছিল সেই দায়িত্ব। শেষমেষ পাহাড় সফরে গিয়ে জিটিএ নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ বিষয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, “জিটিএ নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। প্রথমে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ দ্রুত করা হবে। এরপর চূড়ান্ত দিন ঠিক করা হবে। খুব দ্রুত একটা সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে। সেখানেই সব আলোচনা হবে।
নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলোও। নতুন রাজনৈতিক দল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি, অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, এসপি শর্মার ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদ, হরকা বাহাদুর ছেত্রীর জন আন্দোলন পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম প্রস্তুতি শুরু করেছে। অন্যদিকে, জিটিএ অবৈধ ও পাহাড়বাসীর দাবিপূরণে বিফল হওয়ার অভিযোগ তুলে জিটিএ নির্বাচন থেকে সরে এসেছে জিএনএলএফ ও জোট সঙ্গী বিজেপি। যদিও এখনও জিটিএ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারেনি বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
Be the first to comment