হুঁশিয়ারি মতো সোমবার থেকেই রিলে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সোমবার নিজ বাসভবন থেকে অনশন কর্মসুচির কথা খোলসা করলেন স্বয়ং বিমল গুরুং। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পর রাজনৈতিক মহলে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
শনিবারই গোর্খা দুঃখ নিবারণী সম্মেলন হলে টাউন কমিটির বৈঠকে জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে অনশন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিমল গুরুং। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার থেকেই চৌরাস্তায় অনশনে বসতে চলেছে মোর্চা। যদিও প্রথমে চৌরাস্তায় যুব মোর্চার সদস্যরা রিলে অনশন করবেন। দুদিন দেখার পর প্রতীকী অনশনে বসবেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। তারপরও যদি কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও পদক্ষেপ না করে, তবে আমরণ অনশনে বসবেন বিমল গুরুং।
পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের আগে কোনও ভাবেই জিটিএ নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না বলে রবিবার ফের স্পষ্ট করে দেন মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং। পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে জিটিএ নির্বাচন করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ওই নির্বাচন করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলমকে নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বেঁকে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সহযোগী দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মোর্চার দাবি, আগে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে, তারপর নির্বাচন। পাশাপাশি ২০১১ সালে জিটিএ চুক্তিতে যে সব প্রতিশ্রুতি ও দাবি পূরণের উল্লেখ ছিল, মোর্চার দাবি সেগুলো সব আগে পূরণ করতে হবে তারপর জিটিএ নির্বাচন হবে।
গতকালই এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন বিমল গুরুং। স্থায়ী সমাধান করার পাশাপাশি ১১ গোর্খা জনজাতিকে তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি । এ বিষয়ে তিনি দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করতে চেয়েছেন রাজ্যের সঙ্গে । তবে হুমকিও দিয়েছেন, যদি তাঁর দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরণ অনশনে বসবেন তিনি । বিমল গুরুং বলেছেন, “জিটিএ নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমাদের যুব শাখা সোমবার থেকেই অনশন শুরু করছে । দুদিন তাদের এই রিলে অনশন চলবে । এর মধ্যে সরকার আলোচনায় ডাকলে ভালো, নইলে পরবর্তীতে আমরাও অনশনে বসে পড়ব ।”
Be the first to comment