জিটিএ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দিষ্ট তারিখ অনুয়ায়ী ভোট এবং গণনা হবে। তবে জিএনএলএফ যে সমস্ত বিষয়গুলি আদালতে তুলেছিল, সে বিষয়ে পরবর্তী কালে মামলার শুনানি হবে। এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।
পাহাড়ে জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-র নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবিতে মামলা করেছিল জিএনএলএফ। জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল জিএনএলএফ নেতৃত্ব। হাইকোর্টে তাদের মূল বক্তব্য ছিল, ১৯৮৮ সালে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ তৈরি হয়েছিল সংবিধান অনুযায়ী। পরে রাজ্য সরকার ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধন না করেই জিটিএ গঠন করে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অংসাবিধানিক। সেই কারণে জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিক হাইকোর্ট।
কিন্তু রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ২৬ জুন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই পোস্টাল ভোট শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। রাজ্যের অন্যান্য স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচন করে বোর্ড গঠন হয়ে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে জিটিএ-তে প্রশাসক বসানো রয়েছে। ওখানে নির্বাচন করাটা রাজ্যের দায়িত্ব। এই পরিস্থিতিতে ২৬ জুন ভোটের সমস্ত প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। আদালত যেন এতে হস্তক্ষেপ না করে। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর তাঁদের বক্তব্য লিখিত আকারে জমা নেন।
এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিংগল বেঞ্চ ১৯ মে নির্দেশ দিয়েছিল ২৬ জুন নির্বাচন হলেও ফলাফল নির্ভর করবে এই মামলার ভবিষ্যতের উপর। আজ বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর নির্দেশের পর সেই বিধিনিষেধও থাকছে না। তবে গোর্খা পার্বত্য পরিষদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরে মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টেই।
Be the first to comment