পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। শনিবারই দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক সারলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। সূত্রের খবর, জুনের শেষ সপ্তাহে জিটিএ নির্বাচন করানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার। সব ঠিক থাকলে ২৬ জুন নির্বাচন হতে পারে। আগামী সপ্তাহের ২৭ তারিখ এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা।
প্রায় ৫ বছর পর ফের পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে। বোর্ডের মেয়াদ শেষের পর একাধিক জটিলতার কারণে সেখানে প্রশাসক বসানো হয়েছিল। সেসব কাটিয়ে আগামী জুনে ভোটের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সদ্যই দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুণ্যবালমকে রিটার্নিং অফিসারের (RO) দায়িত্ব দেওয়া হয় নবান্নের তরফে। এছাড়া কার্শিয়ং, কালিম্পংয়ের মহকুমাশাসকদেরও সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর শনিবার স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা রিটার্নিং অফিসার তথা দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করেন। জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয় দু’জনের মধ্যে। সূত্রের খবর, আগামী ২৭ তারিখ জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। অসমর্থিত সূত্র অনুযায়ী, ভোটের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে ২৬ জুন।
মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা করার পর প্রাথমিকভাবে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি স্বাগত জানালেও পরে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন পাহাড়ের একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বিমল গুরুং। সপ্তাহ খানেক আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, জিটিএ নির্বাচন এখনই চান না। আগে পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হোক। জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দিলেন আমরণ অনশনের হুমকিও দিয়েছিলেন। সেইমতো গত সোমবার থেকে অনশন শুরু করেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গুরুং জানান, দার্জিলিংয়ের চৌরাস্তায় যুব মোর্চার সদস্যরা রিলে অনশন করছেন। তাঁর এসব ‘আন্দোলন’কে গুরুত্ব না দিয়ে সোজা জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির দিকে একধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য প্রশাসন।
Be the first to comment