জিটিএ শপথের মঞ্চেও অডিট নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। শুক্রবার জিটিএ-র বিভিন্ন পদে নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। শপথের পরই জিটিএর দুর্নীতি নিয়ে সরব হন তিনি।
বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত জিটিএ বোর্ডের প্রথম বৈঠক হয় দার্জিলিংয়ের ভানুভবনে। ওই বৈঠকে জিটিএর চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন অঞ্জুল চৌহান। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন রাজেশ চৌহান। জিটিএ চিফ একজিকিউটিভ পদে অনীত থাপা নির্বাচিত হন। নির্বাচনের ফলাফলের পর ভারতীয় গোর্খা গণতান্ত্রিক মোর্চার সমর্থকরা আশা করেছিলেন অনীত থাপাই চেয়ারম্যান হবেন। কিন্তু তিনি চমক দিয়ে অঞ্জুল চৌহানকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলমও। বোর্ড মিটিংয়ের পরই নবনির্বাচিত পদাধিকারীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
শপথপর্ব মিটতেই স্বমেজাজে ধরা দেন ধনকড়। ফের ঘুরিয়ে রাজ্য সরকারকে দুর্নীতি ইস্যুতে বিঁধেছেন তিনি। ধনকড় এদিন বলেন, ২০১৯ সাল থেকে জিটিএ-তে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার অডিট হওয়া উচিত এবং এখন থেকে প্রতিবছর সমস্ত খরচের অডিট করাতে হবে। যদি কোথাও কোনও দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে তাহলে দুর্নীতির মামলা করতে হবে। এর আগেও জিটিএ-র দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি ছিল, জিটিএ’র নেতৃত্বে প্রথম কয়েক বছরে পাহাড়ে কোনওরকম উন্নয়ন হয়নি। জিটিএ-র শপথের মঞ্চে ঘুরিয়ে সেই অভিযোগেরই পুনরাবৃত্তি করলেন ধনকড়।
জিটিএ’র নবনির্বাচিত বোর্ডকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান , “অনিত থাপা আজ শপথ নিল, আসার সময় ওকে অভিনন্দন জানিয়ে এলাম। পাহাড় সমতল সবাই ভালো থাকুক , শান্তিতে থাকুক৷ আমার কাছে উত্তরবঙ্গ , দক্ষিণবঙ্গ , পশ্চিমবঙ্গ সবটাই সমান। চাকরি বাকরি বাড়ুক এবং এখানে হচ্ছে।”
Be the first to comment