প্রায় ২ লাখ ভিন রাজ্যের মানুষ রাতারাতি গুজরাট ছেড়েছেন।গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে গুজরাট প্রশাসন। বহিরাগতরা প্রাণ ভয়ে কেন গুজরাট ছাড়তে বাধ্য হলেন? বহিরাগতদের উপর হামলাই বা কেন হল? রাজ্য প্রশাসনের কাছে জানতে চাইল হাই কোর্ট।নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমার নির্দেশও দিল আদালত।
শিশুর ধর্ষণ ঘিরে গত কয়েকদিনে গুজরাটের পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়। ধর্ষণের অভিযোগে বিহারের এক শ্রমিক গ্রেফতার হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। বহিরাগতদের টার্গেট করে ঠাকুর সেনার কর্মীরা। হামলার জেরে গুজরাট ছাড়তে তাঁরা বাধ্য হন। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ঠাকুর সেনার তাণ্ডব ঠেকাতে কার্যত অসফল হয়েছে। হাই কোর্টে এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সমাজকর্মী খেমচাঁদ কোস্তি। যা গ্রহণ করার পরই রাজ্যকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিল আদালত।
দায়ের করা মামলায় মামলাকারীর দাবি, ১৪ মাসের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি চলছে। নির্যাতিতা ঠাকুর সম্প্রদায়ের হওয়ায় রাজ্যের বহিরাগতদের রেয়াদ করেনি ঠাকুর সেনার কর্মীরা। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের পরোক্ষ মদতেই বহিরাগতদের উপর অত্যাচার চলে। বাধ্য হয়ে কয়েকদিনে প্রায় ২ লাখ বহিরাগত গুজরাট ছেড়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বিহার,মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
ধর্ষণের ঘটনাকে হাতিয়ার করে জমানো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করছে ঠাকুর সেনা বলেও মনে করা হচ্ছে। যেখানে ভিন রাজ্যের প্রত্যেক মানুষকেই গুজরাট ছাড়তে বাধ্য করাই হয়ে উঠছে মূল উদ্দেশ্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ কী? জানতে চাইল গুজরাট হাই কোর্ট।
Be the first to comment